ক্যাটাগরি

ধর্ষণ মামলা: মামুনুলের বিরুদ্ধে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতার সাক্ষ্য

সোমবার সকাল ১১টা
থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক
নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় বলে আদালত পুলিশের পরিদর্শক
আসাদুজ্জামান জানান।

তিনি আরও বলেন,
“চতুর্থ দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে আরও দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।” 

সাক্ষী দুজন হলেন-
সোনারগাঁ থানা যুবলীগের সহসম্পাদক নাজমুল হাসান শান্ত ও মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের
সভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী
রকিব উদ্দিন আহমেদ জানান, সোমবার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনি ও রতন মিয়া
নামে আরও দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ছিল। কিন্তু তারা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় পরবর্তীতে
তারিখ নির্ধারণ করেছে আদালত।

এর আগে সকাল ৯টায়
কঠোর নিরাপত্তায় গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জে আনা হয় মামুনুল
হককে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দুপুরে আদালত এলাকা থেকে তাকে কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়।

চলতি
বছরের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি রুমে হেফাজতে ইসলামের
কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধ করে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ
লোকজন। পরে পুলিশ গিয়ে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় খবর পেয়ে হেফাজত ও মাদ্রাসার
ছাত্ররা ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালিয়ে তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়।

পরে হেফাজতের নেতাকর্মীরা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভাংচুর করেছে। এসময় তাঁরা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ
করে। ভাংচুর করে শতাধিক যানবাহন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাংচুর করে। পুলিশ গিয়ে
তাদেরকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে হেফাজতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা
ধাওয়া সংঘর্ষ বাঁধে।

এই ঘটনায় হেফাজতকর্মী
মোহাম্মদ ফয়সাল বাদী হয়ে মামুনুল হককে হেনস্থা করার  অভিযোগে যুবলীগ-ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ স্থানীয়দের
বিরুদ্ধে সোনারগাঁয় লিখিত অভিযোগ দেন। 

এই ঘটনার পর
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়। একই সঙ্গে
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টিএম মোশাররফ হোসেনকে বদলি করা হয়।

এর আগে ১৮ এপ্রিল
মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর
তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

রয়েল রিসোর্ট
ঘটনার ২৭ দিন পর সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে জান্নাত আরা ঝর্না বাদী হয়ে নারী ও শিশু
নির্যাতন আইনে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন:


স্ত্রীকে খুশি করতে ‘সীমিত পরিসরে’ সত্য গোপন করা যায়: মামুনুল
 

হেফাজত নেতা মামুনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় ‘স্ত্রীর’ সাক্ষ্য
 

রিসোর্ট থেকে মামুনুল ঢাকায়, হেফাজতের ভাংচুর  

সোনারগাঁ তাণ্ডবে তিন মামলা, হেফাজত নেতা মামুনুলও আসামি  

মামুনুল কাণ্ড: সোনারগাঁ থানার ওসি প্রত্যাহার