লিগ ওয়ানে রোববার রাতের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে। পিএসজির হয়ে দুটি গোল করেন মার্কিনিয়োস ও নেইমার। সফরকারীদের হয়ে জালের দেখা পান ইকে উগবো ও ফ্লোরিয়ান টারডিউ।
লিগের শিরোপা নিশ্চিত করার পর গত রাউন্ডে স্ত্রাসবুরের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করেছিল মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল।
চতুর্থ মিনিটে পিএসজির রক্ষণের দুর্বলতায় এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পায় তোয়া। কিন্তু বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যে শট রাখতে পারেননি গিউলিয়ান বিয়ানকোন। প্রতি-আক্রমণে কাট ব্যাক করে ডান দিক দিয়ে বক্সের বাইরে থেকে দূরের পোস্টে শট নেন আনহেল দি মারিয়া। ঝাঁপিয়ে ঠেকান তোয়া গোলরক্ষক।
ষষ্ঠ মিনিটে পিএসজির প্রথম গোলের মূল কারিগর সেই দি মারিয়াই। ডান দিক থেকে ক্রস বাড়ান এই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার, যা প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে খুঁজে নেয় মার্কিনিয়োসকে। আলতো টোকায় বাকিটা সারেন এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার।
চলতি মৌসুমে লিগে এটি মার্কিনিয়োসের পঞ্চম গোল।
২৫তম মিনিটে কিলিয়ান এমবাপে ডি-বক্সের ভেতর ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় পিএসজি। স্পট কিক থেকে জালের ঠিকানা খুঁজে নিতে ভুল করেননি নেইমার। এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের ২৭ ম্যাচে গোল হলো ১২টি।
গোল পরিশোধে মরিয়া তোয়া চাপ বাড়াতে থাকে পিএসজির ওপর। ফলও পেয়ে যায়া তারা। ৩০তম মিনিটে নুনো মেন্দেসের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে বক্সের ভেতর থেকে দূরের পোস্টে বল জালে পাঠান ফরোয়ার্ড উগবো।
দুই মিনিট পর চিপ শটে বায়ে থাকা লিওনেল মেসির উদ্দেশে বল বাড়ান দি মারিয়া। ছয় গজের ভেতর থেকে রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা শট রাখতে পারেননি লক্ষ্যে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতা টানে স্বাগতিকরা। বক্সের ভেতর রেনড রিপার্টকে পিএসজি ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্পেম্বে ফাউল করলে পেনাল্টির পায় তোয়া। ‘পানেনকা’ শটে কেইলর নাভাসকে বিভ্রান্ত করে গোল করেন টারডিউ।
৫৭তম মিনিটে বল জালে পাঠান নেইমার। কিন্তু ভিএআরে তা বাতিল হয়ে যায়, কারণ এর আগে বল দখলের সময় এমবাপে প্রতিপক্ষের একজনকে ফাউল করেছিলেন। তিন মিনিট পর বক্সের মাঝামাঝি জায়গা থেকে শট নেন মেসি, কিন্তু তা লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন সাবেক বার্সেলোনা তারকা।
৮৪তম মিনিটে পিএসজিকে এগিয়ে দেওয়ার দারুণ সুযোগ পান মার্কিনিয়োস। দি মারিয়ার ক্রসে তার হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়।
৯০তম মিনিটে জর্জিনিয়ো ভেইনালডামের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বক্সের বাইরে থেকে শট নেন মেসি, এবারও তাকে হতাশ করে বল চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে এমবাপের ক্রস থেকে বল পেয়ে বা পায়ে ভলি নিয়েছিলেন মেসি, কিন্তু তা রুখে দেন একজন ডিফেন্ডার।
৩৬ ম্যাচে ২৪ জয় ও ৮ ড্রয়ে পিএসজির পয়েন্ট ৮০।