সোমবার
বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করেছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি করা
পণ্যেও এ সুবিধা পাওয়া যাবে।
এ
অর্থবছরে সব পণ্য রপ্তানির বিপরীতে নগদ প্রণোদনা পেতে ৩০ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজনের
শর্ত দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন এ সিদ্ধান্তে শুধু বস্ত্র খাতের বেলায় স্থানীয়
পর্যায়ে মূল্য সংযোজনের হার হবে ২০ শতাংশ।
দেশি
রপ্তানিমুখী বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো কাস্টমস বন্ড ও ডিউটি ড্রব্যাকের পরিবর্তে
৪ শতাংশ হারে বিকল্প নগদ সহায়তা পেয়ে থাকে।
সার্কুলারে
বলা হয়, চলতি অর্থবছরের জাহাজিকরণ করা রপ্তানি চালানের বিপরীতে দাখিল করা অনিষ্পন্ন
আবেদন ও সার্কুলার জারির পর দাখিলযোগ্য আবেদনের বেলায় এ সুবিধা পাওয়া যাবে।
বস্ত্র
খাতের রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করতে মূল্য সংযোজনে সরকারের পরামর্শে এ ছাড় দেওয়ার কথা
জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।
নিট
এফওবি (ফ্রি অন বোর্ড) রপ্তানি মূল্য থেকে ওই পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করা আমদানি পণ্যের
ব্যয় বাদ দিয়ে মূল্য সংযোজনের ব্যয় হিসাব করা হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে এক্সপোর্টার্স
অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) সহ সভাপতি মোহাম্মদ
হাতেম বলেন, নগদ সহায়তার জন্য
এক সময় মূল্য সংযোজনের
সীমা ২৫ শতাংশ হলেও
২০০৩ সালে সেটা ২০
শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু ২০২১
সালে বাংলাদেশ ব্যাংক সব ধরনের রপ্তানিতে ৩০ শতাংশ মূল্য সংযোজনের শর্ত দেয়।
এখন এ হার কমানোতে
দেশে এখন উচ্চমূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানির
যে ধারা চালু হয়েছে এ
সার্কুলারের ফলে
তারা সুবিধা পাবে বলেও মনে
করেন রপ্তানিকারক সংগঠনের এ নেতা।
“কারণ
হচ্ছে, উচ্চমূল্যের পোশাকগুলোর জন্য অনেক ফেব্রিক্স
আমদানি করতে হয়। এখনই যদি
তাদের ওপর ৩০ শতাংশ
ভ্যালু এডিশনের শর্ত চাপিয়ে দেওয়া
হয় তাহলে নতুন এই খাত দাঁড়াতে
পারবে না,” বলেন হাতেম।
চলতি
অর্থবছরে নতুন করে চারটি যুক্ত করে ৪২টি খাতের পণ্যের বিপরীতে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।
প্রণোদনার নীতিমালা অনুযায়ী, এসব পণ্যের বিপরীতে ৪ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত
নগদ সহায়তা পান রপ্তানি খাতের উদ্যোক্তারা।
বস্ত্র
খাতে মূল্য সংযোজনের হার আগের মত ২০ শতাংশ রাখতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠনের
পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি করা হয়।
তারা
যুক্তি দেখান, তৈরি পোশাকের ওভেন খাতটি পুরো মাত্রায় কাঁচামাল আমদানিনির্ভর। ক্রেতার
শর্ত পূরণে অনেক ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশই কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। এজন্য এসব ক্ষেত্রে ২০
শতাংশের বেশি মূল্য সংযোজন সম্ভব হয় না।
রপ্তানি
মূল্য প্রত্যাবাসনের এক বছর বা ৩৬০ দিনের মধ্যে রপ্তানি ভর্তুকি বা প্রণোদনার আবেদন
দাখিল করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।