ইউক্রেইনের কৃষিমন্ত্রী মাইকোলা সোলস্কি সোমবার একথা বলেছেন। ইউক্রেইনের বন্দরগুলো রুশ সেনাদের ঘেরাওয়ে থাকার মধ্যে রুমানিয়া হয়ে ইউক্রেইনের শস্য রপ্তানির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন তিনি।
ইউক্রেইনে ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারও অস্থিতিশীল হয়েছে। পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে।
ইউক্রেইন ২০২০/২১ সালের মৌসুমে বিশ্বে ভুট্টার চতুর্থ বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ এবং ষষ্ঠ বৃহত্তম গম রপ্তানিকারক দেশ। ২ কোটি ৫০ লাখ টন শস্য ইউক্রেইনে আটকে আছে।
যুদ্ধে অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি এবং কৃষ্ণসাগরের বন্দরগুলো অবরুদ্ধ হয়ে থাকার কারণে সেগুলোর চালান ইউক্রেইন ছেড়ে যেতে পারছে না বলে গত শুক্রবারেই জানিয়েছেন জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থার এক কর্মকর্তা।
তবে এই পরিস্থিতির মধ্যেও দেশটির রপ্তানি উদ্বৃত্ত প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টন এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেইনে বর্তমানে শস্যের যে মজুদ আছে তাতে নতুন ফসল উঠলে তা আর মজুদের জায়গা থাকবে না।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ইউক্রেইনের কৃষিপণ্য উৎপাদনকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে না পারলে বিশ্ব বাজারে বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার সমস্যা সমাধান করা যাবে না।
যুদ্ধে রাশিয়া ইউক্রেইনের শস্য চুরি করছে বলে ফের অভিযোগ করেছেন কৃষিমন্ত্রী সোলাস্কি। চুরি যাওয়া শস্য দ্রুতই জব্দ করার জন্য কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি সোলাস্কি। ওদিকে, রাশিয়া শস্য চুরির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।