লা লিগার ম্যাচে রোববার রাতে রিয়ালকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আতলেতিকো। স্কোর লাইন দেখে বোঝার উপায় নেই ম্যাচে কতটা দাপুটে ছিল গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা। ব্যবধান গড়ে দেওযা গোলটি করেন ইয়ানিক কারাসকো, পেনাল্টি থেকে।
এই জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল আতলেতিকো। এই জয়ে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে রয়েছে দলটি। ৬ পয়েন্ট পেছনে পড়ে গেছে পাঁচে থাকা রিয়াল বেতিস।
লিগ শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই, কদিন পর মহাগুরুত্বপূর্ণ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। তাই শুরুর একাদশে করিম বেনজেমা, ভিনিসিউস জুনিয়র, থিবো কোর্তোয়া, লুকা মদ্রিচদের অনেককেই রাখেননি আনচেলত্তি।
স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব পড়ে খেলায়। সুযোগ কাজে লাগিয়ে সফরকারীদের চেপে ধরে আতলেতিকো। চতুর্থ মিনিটেই প্রথম সুযোগ পেয়ে যায় তারা। তবে আনহেল কোরেয়ার শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে গেলে বেঁচে যায় রিয়াল।
চার মিনিট পর আবার সুযোগ পেয়ে যায় আতলেতিকো। এবার কারাসকো একটুর জন্য শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
অগোছাল ফুটবল খেলা রিয়াল প্রথম গোলের জন্য শট নিতে পারে ৩৬তম মিনিটে। ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে জোড়া গোল করে ইউরোপের সফলতম দলটির অবিশ্বাস্য জয়ের নায়ক রদ্রিগোর শট ফেরাতে কোনো সমস্যাই হয়নি ইয়ান ওবলাকের।
৪০তম মিনিটে কারাসকোর সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় আতলেেতিকো। মাথেউস কুইয়াকে রিয়াল ডিফেন্ডার ভালেহো ফাউল করায় ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে টনি ক্রুসের বুলেট গতির শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের কিছুটা গুছিয়ে নেয় রিয়াল। তবে এই অর্ধেও প্রথম ভালো সুযোগটা পায় আতলেতিকোই। ৫৭তম মিনিটে একটুর জন্য অঁতোয়ান গ্রিজমান লক্ষ্যে রাখতে পারেননি শট।
দুই মিনিট পর সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যান কাসেমিরো। কিন্তু গোলরক্ষক ওবলাককে একা পেয়েও ডি বক্স থেকে তার বরাবর শট নিয়ে হতাশ করেন দলকে।
৬০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন কারাসকো। কিন্তু ডি বক্স থেকে তিনি মারেন ক্রসবারের উপর দিয়ে। তিন মিনিট পর কুইয়ার ব্যর্থতায় নষ্ট হয় আরেকটি সুযোগ। গ্রিজমানের থেকে বল পেয়ে পেনাল্টি স্পটের কাছ তিনি শট নেন অনেকটা গোলরক্ষক বরাবর। অনায়াসেই ফেরান আন্দ্রি লুনিন।
ভিনিসিউস-মদ্রিচরা নামার পরও বাড়েনি রিয়ালের আক্রমণের ধার। একের পর এক সুযোগ তৈরি করতে থাকে আতলেতিকো। ৭৩ ও ৭৬তম মিনিটে দুইবার পেনাল্টে স্পটের কাছাকাছি জায়গা থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি গ্রিজমান।
৭৭তম মিনিটে কারাসকোর শট পোস্টের লেগে ফিরে এলে নষ্ট হয় আরেকটি সুযোগ।
৮৮তম মিনিটে মার্কো আসেনসিওর ফ্রি কিক ঠেকিয়ে ব্যবধান ধরে রাখেন ওবলাক। শেষ দিকে রক্ষণে গুটিয়ে যায় আতলেতিকো। সুযোগে প্রবলভাবে চেপে ধরে রিয়াল। কিন্তু জালে বল পাঠাতে পারেননি কেউই।
আগেই শিরোপা জেতে রিয়ালের পয়েন্ট ৮১ই থাকল। ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে বার্সেলোনা। তিনে থাকা সেভিয়ার পয়েন্ট ৬৪।