রোববার রাতে
জেলা পুলিশ সুপার এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, সন্ধ্যায় তাদেরকে জেলা কারাগার সংলগ্ন
একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
চার কিশোরী
কমলনগর উপজেলার একটি গ্রাম থেকে শনিবার সকালে একসঙ্গে আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার কথা বলে
বের হয়। কিন্তু সেই আত্মীয়ের বাড়ি না যাওয়ায় শনিবার রাতে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার।
পরষ্পরের আত্মীয় চার কিশোরীর বয়স ১২ থেকে ১৪ বছর। তারা পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
চার কিশোরীকে উদ্ধারের পর
রাতে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সেখানে পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বলেন, “অভাব-অনটন ও কাজের সন্ধানে বাড়ি
থেকে বের হয় চার কিশোরী। তারা কাজ করে পরিবারের অভাব-অনটন দূর করতে বাবা-মার অগোচরে
বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারা বাসাবাড়িতে কাজ করে পরিবারকে সাহায্য করতে চেয়েছিল।”
“কারও প্ররোচনায়
তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়নি।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়,
চার কিশোরী শনিবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর শহরের ঝুমুর এলাকায়
পৌঁছায়। এক কিশোরীকে কান্না করতে দেখে সন্দেহ হয় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ফারুকের।
তিনি তাদেরকে পরিচিত পুলিশ সদস্য নুরুল ইসলামের জেলা কারাগার সংলগ্ন বাসায় নিয়ে যান।
নুরুল ইসলামের
স্ত্রী তার নিকট আত্মীয় রহমানের বাসায় ওই কিশোরীকে রাখেন। কিন্তু তারা ঠিকানা দিতে
হয়নি। পরে পুলিশ সদস্য নুরুল ইসলাম কমলনগর থানাকে বিষয়টি জানায়। তারপরই তাদের উদ্ধার
করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন শেষে চার কিশোরীকে
পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
(প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান, ডিএসবির ওসি এ কে
এম আজিজুর রহমান মিয়া, কমলনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সোলায়মান হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও
পড়ুন: