ক্যাটাগরি

শাহজালাল বিমানবন্দর ঘুরে অসন্তোষ সালমান রহমানের

সোমবার বিকালে শাহজালাল
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শনের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি
ওভারঅল স্যাটিসফাইড নই।

“আমি যা দেখেছি, এখানে পরিস্থিতি উন্নত করার অনেক সুযোগ আছে। সেসব
সুযোগের কথা আমি সংশ্লিষ্টদের বলে দিয়েছি। মাঠ পর্যায়ে যারা আছেন তাদের মন
মানসিকতা বদলাতে হবে।”

সালমান রহমান শুরুতেই
বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি
করা হচ্ছে বলে খবর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পরিদর্শনে পাঠিয়েছেন।

শাহজালাল বিমানবন্দর নিয়ে
যাত্রীদের অভিযোগের তালিকা অনেক লম্বা। বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার
কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক পুরনো। কোভিড মহামারীকালে যাত্রীদের স্বাস্থ্য
পরীক্ষা যোগ হওয়ার পর দুর্ভোগ নতুন মাত্রা পায়।

সালমান রহমান বলেন, “আমার
যেটা দেখেছি, দুই-তিনটা জায়গায় হয়রানি হয়। এর মধ্যে একটা ইমিগ্রেশনে করোনা
সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার বড় লাইন। এখন অধিকাংশ মানুষ কিউআর কোড নিয়ে আসছে। তারা
সহজেই ইমিগ্রেশন পার হতে পারছেন।

“আরেকটা অভিযোগ শুনেছিলাম, ইমিগ্রেশনে হয়রানি হয়। অনেকে বলেছে
ইমিগ্রেশন পার হতে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়, অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করা হয়।
এসব হয়রানির অভিযোগ জানাতে যাত্রীদের জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে।”

বিমানবন্দরে দুর্ভোগ
লাঘবে ব্যবস্থাপনার কাজে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে অন্য কোনো পক্ষকে যুক্ত করা হবে
কি না- জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, “মোটামুটি একটা
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে তৃতীয় টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং, লাগেজ
হ্যান্ডলিং, স্ক্যানার-এসব ব্যবস্থাপনা- এসব কাজে আউটসোর্সিং করা হবে।

“তবে এখনই তা করা সম্ভব না। কারণ এই প্রক্রিয়া শেষ করতে যে সময়
লাগবে ততদিনে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ হয়ে যাবে। এখন যা অবস্থা, সেটাকে উন্নত
করাই লক্ষ্য।”

কাস্টমস কর্তৃপক্ষের
দ্বারা যাত্রী হয়রানির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যাত্রীরা নিয়ম অনুযায়ী
স্বর্ণ আনছে দেশে। তবে শুল্কযোগ্য পণ্যের টাকা পরিশোধের জন্য ব্যাংক কাস্টমস থেকে
একটু দূরে হওয়ায় যাত্রীদের অসুবিধা হয়। এ জন্য ব্যাংক ও কাস্টমস পাশাপাশি রাখার
কথা বলেছি।”

হয়রানিমুক্ত
বিমানবন্দরের গুরুত্ব তুলে ধরে সালমান রহমান বলেন, “বিমানবন্দরে দেশের
ইমেজটা ফুটে উঠে। বিমানবন্দরের অভিজ্ঞতা যদি খারাপ থাকে, তা হলে শুরুতেই দেশ
সম্পর্কে একটা খারাপ অভিজ্ঞতা হয়। এটা যেন না হয়। বিষয়টা নিয়ে সবাইকে সতর্ক
থাকতে হবে।

“সরকার খুব সিরিয়াসলি এ বিষয়টি নিয়েছে। এ পরিদর্শনের পরে যদি
আমরা দেখি যে অভিযোগের হারটা কমছে না, কন্টিনিউ করছে, তাহলে আমরা আরও কঠিন
ব্যবস্থায় যাব।”

পরিদর্শনের সময়
উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জেল হোসেন, বেসামরিক
বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিকল্পনা ও পরিচালনা) এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান
চৌধুরী, সদস্য (নিরাপত্তা) গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবু সালেহ মাহমুদ মান্নাফী, হজরত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক মো. কামরুল ইসলাম, পুলিশের
বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।