উপজেলার
খাসেরহাট রাস্তার মাথায় অটোরিকশার স্ট্যান্ডে এ ঘটনার পর চালকদের আটক করে থানায়
নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাদের অর্থদণ্ড করা হয় বলে সুবর্ণচর উপজেলার নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) চৈতি সর্ববিদ্যা জানান।
মঙ্গলবার তিনি
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা শনিবারের ঘটনা। ভিডিওটা ভাইরাল হয়েছে,
সেটা আমরা দেখেছি। ঘটনার পরই অটোরিকশা চালকদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।“
“পরে উভয়
পক্ষের উপস্থিতিতে আহতদের চিকিৎসার জন্য আট হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করে
ভুক্তভোগীকে দেওয়া হয় এবং বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হয়।”
ভিডিওতে দেখা
যায়, খাসেরহাট রাস্তার মাথা থেকে জেলা সদরের সোনাপুরের ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির এক
পর্যায়ে অটোরিকশা চালকরা কয়েকজন যাত্রীকে মারধর করছেন। অটোরিকশা চালকদের হামলায়
রক্তাক্ত হয় এক যাত্রী। তার মুখ থেকে রক্ত ঝরছিল। তাকে পরিবহন চালকদের কবল থেকে
রক্ষায় শিশু কোলে এক নারী ও তার সঙ্গে থাকা আরও এক শিশু প্রাণান্তর চেষ্টা চালায়।
ভুক্তভোগী ওই
ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান, সুবর্ণচরের চরবাট খাসেরহাট রাস্তার মাথা থেকে
সোনাপুরের অটোরিকশার নির্ধারিত ভাড়া ৬০ টাকা। কিন্তু চালকরা ঈদের পর থেকে
যাত্রীদের কাছ থেকে নিচ্ছে দেড়শ থেকে ২০০ টাকা করে। সেই ভাড়া নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে
তাকে মারধর করা হয়।
যাত্রীরা আরও
অভিযোগ করেন, আট কপালিয়া বাজার থেকে ৫০ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ১৫০ টাকা। এ ছাড়া বাস
কাউন্টারে চট্টগ্রামগামী বাস যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়া ৩০০ টাকার
পরিবর্তে সাড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে।
উপজেলা
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ঘটনার পর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও উপজেলা
প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত যৌথ অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে
কয়েকটি বাস ও অটোরিকশা আটক করে। পরে তাদেরকে অর্থদণ্ড করা হয়।