এবারের আইপিএল শুরুর আগে চেন্নাইয়ের নেতৃত্ব ছেড়ে দেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। জাদেজার কাঁধে তুলে দেওয়া হয় গুরুদায়িত্ব। কিন্তু দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। তার নেতৃত্বে প্রথম আট ম্যাচের কেবল দুটি জিততে পারে প্রতিযোগিতাটির চারবারের চ্যাম্পিয়নরা।
পরে নিজেই পদ থেকে সরে দাঁড়ান জাদেজা। তার অনুরোধে ধোনি আবার ধরেছেন দলের হাল; চেন্নাইকে পথে ফেরার চেষ্টাও চালাচ্ছেন। যদিও প্লে-অফে দলটির জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ একদমই ক্ষীণ।
২০০৭ সালে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাদেজা। এরপর আর কোনো ধরনের ক্রিকেটেই অধিনায়কত্ব করেননি তিনি। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর টি-টোয়েন্টি টাইম আউটে শাস্ত্রী বলেন, দায়িত্ব দিয়ে জাদেজাকে চেপে ফেলে দিয়েছিল চেন্নাই।
“সে (জাদেজা) সহজাত অধিনায়ক নয়। কোনো পর্যায়েই সে অধিনায়কত্ব করেনি। তাই, তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া…..আমার মনে হয়, একটু কঠিনই ছিল জাদেজার জন্য।”
“মানুষ জাদ্দুকে হয়তো (অধিনায়ক হিসেবে) বিচার করতে চায়, কিন্তু এটা তার দোষ নয়। সে (আগে) কোথাও অধিনায়কত্ব করেনি। পানি থেকে মাছ ডাঙায় আসার মতো অবস্থা হয়েছে জাদেজার, পুরোপুরি ভিন্ন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে সে। খেলোয়াড় হিসেবে এর থেকে সে অনেক বেশি ভালো। অলরাউন্ডারদের মধ্যে সে সেরাদের একজন।”
নেতৃত্বের ভারে যে জাদেজা কাবু হয়ে গিয়েছিলেন, তা তার সেই সময়ের পারফরম্যান্সেও স্পষ্ট। ব্যাট-বল হাতে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতেই পারছিলেন না তিনি।
অধিনায়ক থাকাকালীন ৮ ইনিংস ব্যাটিং করে একবারও পার করতে পারেননি ৩০ রান। সব মিলিয়ে নামের পাশে রান ছিল স্রেফ ১১২। যেখানে দুইবার ফিরেছেন শূন্য রানে। বাঁহাতি স্পিনে উইকেট নেন মাত্র পাঁচটি।
নিজের খেলায় মনোযোগ দিতেই দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে তখন জানিয়েছিলেন জাদেজা। শাস্ত্রীও মনে করেন, জাদেজার ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
“ওকে নিজের খেলায় মনোযোগ দিতে দিন। তাকে অধিনায়কত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তের মাশুল চেন্নাই সুপার কিংসকে প্রথম কয়েকটি ম্যাচে গুণতে হয়েছে। তাদের এখন যে ফর্ম, এটা যদি শুরুর দিকে থাকত, তাহলে তারা (পয়েন্ট টেবিলে) উপরের দিকে থাকত।”
নতুন অধিনায়ক খুঁজে নেওয়ার জন্য ধোনিকে আগামী আসরেও চেন্নাইয়ের নেতৃত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেন শাস্ত্রী।