মঙ্গলবার বিকালে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, “টিআইবি যখন তখন কথায় কথায় বিবৃতি দেয়। সম্প্রতি রেলের টিকিট ও টিটিই নিয়ে মধ্যরাতে একটা ঘটনা ঘটেছিল। এটার কোনো খোঁজ-খবর না নিয়ে সকালবেলা টিআইবি বিবৃতি দিয়ে দিল।
“এখন রিজভী আর টিআইবির মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছি না। কোনোকিছু ঘটার আগেই যেমন রিজভী বিবৃতি লিখে রাখেন তেমনি টিআইবিও কোনোকিছু হওয়ার আগেই বিবৃতি লিখে রাখে।”
এ সময় মন্ত্রী এলডিপি মহাসচিব ও কুমিল্লা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেদওয়ান আহমেদের গুলিতে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীর আহত হওয়ার প্রসঙ্গেও কথা বলেন।
এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাদের দলের কর্মীরা সেখানে জমায়েত হয়েছিল এবং তিনিও সেখানে গেছেন। তারপর একটি তরমুজ ছুড়ে মেরেছে। কিন্তু তার প্রতি উত্তরে তিনি গুলি ছুড়েছেন। এতে আমাদের দলের দুজন গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এটা দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক।”
রেদওয়ান আহমেদের এই গুলি ছোড়ার ‘পক্ষে সাফাই গেয়ে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নানা ধরনের কথা বলেছেন বলেও মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।
“এখন খতিয়ে দেখা দরকার রেদওয়ান আহমেদ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নাকি বিএনপির আরও কোনো শীর্ষ নেতার নির্দেশে গুলি ছুড়েছেন কি না।”
ঘটনাটি তদন্তধীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর আসল রহস্য নিশ্চয় বেরিয়ে আসবে। যারাই দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ সময় আওয়াামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, রংপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু, মহানগর সভাপতি সাফিউর রহমান সফিসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে রংপুর মহানগরের আওতাধীন কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন হাছান মাহমুদ।