‘বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টির সম্ভাবনা’ নিয়ে উদ্বেগ থেকে চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ নামের ওই চলচ্চিত্রটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও তার ডানপন্থি হিন্দু জাতীয়তাবাদী অনুসারীদের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হওয়ার পাশাপাশি ব্যবসায়িকভাবেও সফল হয়েছে।
তবে সমালোচকদের ভাষ্য, চলচ্চিত্রটিতে বাস্তব ঘটনা বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে এবং এটি মুসলিমবিদ্বেষী মনোভাব উসকে দিচ্ছে।
গণমাধ্যমের জিজ্ঞাসার জবাবে সোমবার এক বিবৃতিতে সিঙ্গাপুরের সরকার জানায়, “চলচ্চিত্রটিতে মুসলিমদের একতরফাভাবে চিত্রায়িত করায় ও উস্কানিমূলক হওয়ায় এবং কাশ্মীরে চলমান সংঘাতে হিন্দুরা নির্যাতিত হচ্ছে এমন বর্ণনা থাকায় শ্রেণিবিভাগ অনুযায়ীই ফিল্মটিকে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই ধরনের উপস্থাপনা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি এবং আমাদের বহুজাতি ও বহু-ধর্ম সমন্বয়ে গঠিত সমাজের সামাজিক সংহতি ও ধর্মীয় সম্প্রীতি ব্যাহত হওয়ার সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।”
৫৫ লাখ জনগোষ্ঠীর সিঙ্গাপুরে আন্তঃসম্প্রদায় ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিঘ্ন ঘটানোর যে কোনো চেষ্টায় কঠোর সাজার বিধান রয়েছে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটির জনগোষ্ঠীটিতে জাতিগতভাবে চীনা, মালয় ও ভারতীয়দেরই আধিপত্য।
ভারত শাসিত কাশ্মীরে ১৯৮৯ সালে দিল্লির শাসনের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার মানুষ, যাদের অধিকাংশই হিন্দু হিমালয়ের এ উপত্যকাটি ছেড়ে পালায়।
হিন্দি ভাষায় নির্মিত ১৭০ মিনিটের চলচ্চিত্র ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’এর সমর্থকরা বলছেন, চলচ্চিত্রটি কাশ্মীরের ইতিহাসের এমন এক অধ্যায়ের উপর আলো ফেলেছে, যা প্রায়ই উপেক্ষিত থাকে।
তাদের বাইরে অন্যরা এই চলচ্চিত্রকে দেখছেন ভারতে ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় মেরুকরণের প্রমাণ হিসেবে, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই যে মেরুকরণকে নরেন্দ্র মোদী সযত্নে লালন-পালন করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ সমালোচকদের।
আরও পড়ুন:
সমুদ্রপথে বাণিজ্য বন্ধ, ইউক্রেইনের দৈনিক ক্ষতি ‘১৭ কোটি ডলার’