এ প্রসঙ্গে গুগল ক্লাউড প্রধান আমিত জাভেরির
একটি ইমেইল দেখার সুযোগ হয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা সিএনবিসির। ওই ইমেইল বিশ্লেষণ করে
বার্তাসংস্থটি বলছে, উদীয়মান ওয়েব৩ খাতের যে কোনো কাজের জন্য ডেভেলপারদের প্রথম পছন্দ
যেন ‘গুগল ক্লাউড’ হয়, এমনটাই চাইছে সার্চ জায়ান্ট কোম্পানিটি।
প্রযুক্তি জগতে ওয়েব৩ এখনও নতুন নাম হলেও,
এই প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী জ্যাক ডরসির মতো প্রথমসারির প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের
অনেকেই। ইমেইলে জাভেরি উল্লেখ করেছেন, উদীয়মান বাজারটির সম্ভাবনা অনেক এবং তার প্ল্যাটফর্মের
কাছ থেকে ওয়েব৩ ও ক্রিপ্টো মুদ্রা সংশ্লিষ্ট আরও সমর্থন চাইছেন সেবা গ্রাহকরা।
অন্যদিকে ৫৯৫ জন ডেভেলপারের অংশগ্রহণ করেছেন
এমন একটি সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, এখনও ব্লকচেইনের জন্য কোনো অ্যাপ বা সফটওয়্যার নির্মাণ
করেননি ৮৫ শতাংশ নির্মাতা।
এই দৃশ্যপটে দ্রুত পরিবর্তন আনতেই গুগল
ওয়েব৩ খাতে তৎপর হচ্ছে।
অন্যদিকে সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে
গুগল ক্লাউড প্রধান জাভেরি বলেছেন, চলমান ক্রিপ্টো মুদ্রা উন্মাদনায় সরাসরি অংশ নিতে
চাচ্ছে না তার প্রতিষ্ঠান। বরং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলো যেন ওয়েব৩ সর্বোচ্চ ব্যবহার
করতে পারে সেটি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি সমর্থন দিতে চান তারা।
জাভেরি সিএনবিসিকে আরও বলেছেন, গুগল ক্লাউড
এমন একটি ব্যবস্থা দাঁড় করাতে পারে যাতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ব্লকচেইন ডেটায় ভোক্তাদের
প্রবেশাধিকার সহজ করে তুলতে পারবে। এর পাশাপাশি নতুন ব্লকচেইন নির্মাণ ও পরিচালনা প্রক্রিয়াও
সহজ করে তুলতে চায় গুগল ক্লাউড।
প্রাথমিক অবস্থায় ব্লকচেইন প্রযুক্তি বেশ
বিতর্কিত ও সমালোচিত হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই প্রযুক্তির দিকে আগ্রহ বেড়েছে মূল
ধারার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর। বিশেষ করে লেনদেন লিপিবদ্ধ করা এবং তথ্য সংরক্ষণ প্রশ্নে
ব্লকচেইন নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর।
উদীয়মান খাতটিতে গুগলের অংশগ্রহণ ও তৎপরতা
ভবিষ্যতের ইন্টারনেট প্রযুক্তি নির্মাণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক
সাইট টেকরেডার।