খুলনা জেলার তেরখাদা
থানার আদালতপুর এলাকায় গত ৪ মে খুন হন ৫০ বছর বয়সী বাবলু শেখ; পরদিনই তার পরিবার
মামলা করে।
সেই মামলার প্রধান
আসামি মুকুল শেখকে (৩৭) সোমবার রাতে আশুলিয়ার জিরাবো থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সিআইডির
এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান।
মঙ্গলবার ঢাকায় এক
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যায় সম্পৃক্ততার কথা ‘স্বীকার
করেছেন’ মুকুল।
“জিজ্ঞাসাবাদে সে
বলেছে, জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাবলু শেখদের পরিবারের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলছিল। গত
৪ মে সকালে টেটা, বল্লম, রাম দা, শরকি, ঝুপিসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাবুলের
বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে মুকুল ও তার সহযোগীরা।”
মুক্তা ধর বলেন, “বাবলু
শেখ তার ছেলে নাজমুলসহ ঘর থেকে বের হয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আক্রান্ত হন। মুকুল
শেখ তার হাতে থাকা চার শলার ঝুপি দিয়ে বাবলু শেখের মাথায় কোপ দিলে তিনি রক্তাক্ত ও
আহত হন। এরপর মুকুলের সঙ্গের লোকজন বাবলুকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে দ্রুত সেখান থেকে
পালিয়ে যায়।”
স্থানীয়রা বাবলুকে
তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা
করেন বলে জানান সিআইডি কর্মকর্তা মুক্তা।
ঘটনার পরদিন ৫ মে বাবলু
শেখের ছেলে নাজমুল শেখ তেরখাদা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেখানে
মুকুল শেখকে প্রধান আসামি করা হয়।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও
গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে সিআইডির সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।