মঙ্গলবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম
ভূঁইয়ার আদালতে অনুবাদকারক রতন কর্মকার সাক্ষ্য দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো.
ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুটি মামলাতেই রতন কর্মকার
সাক্ষ্য দিয়েছেন।
“মামলার আসামি মোস্তফা কামাল অনুবাদকারক রতন কর্মকারকে এই চালানের
একটা লাতিন ভাষার ডকুমেন্ট থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করার কাজ দিয়েছিল। তিনি সেই
বিষয়ে আজ আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন।”
২০১৫ সালে বলিভিয়া থেকে সূর্যমুখী তেলের ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে
আসা একটি কনটেইনারের মধ্যে দুটি ড্রামে ৩৭০ লিটার তরল কোকেন ধরা পড়ে।
এ পর্যন্ত এ ঘটনায় দায়ের করা মাদক মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের মোট ২৬ জন
এবং চোরাচালান মামলায় ৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিলেন। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য
২৯ জুন দিন ধার্য করেছে আদালত।
এ দুই মামলার আসামি মোস্তফা কামালের আত্মীয় ইংল্যান্ডের বাসিন্দা বকুল
মিয়া নামের এক ব্যক্তি তাকে কোকেনের চালানটি বন্দর থেকে ছাড় করানোর দায়িত্ব
দিয়েছিল শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
কোকেনকাণ্ড: চোরাচালানে অভিযুক্ত ১০ আসামি
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি কোকেন জব্দের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের
মামলাটিতে ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ২ মার্চ চোরাচালান মামলায়
প্রথম তিনজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলাটিতে ১০ আসামির
বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছিল।
এই দুই মামলার আসামিরা হলেন- খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম
মোস্তফা সোহেল, মালিক নূর মোহাম্মদ, মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মো. মেহেদী আলম,
গার্মেন্ট পণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর
রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপাক (করপোরেট, বিক্রয় ও
বিপণন) একেএম আজাদ রহমান, সিএন্ডএফ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদের ভাই
খান জাহান আলী লিমিটেডের পরিচালক মোস্তাক আহমদ খান, দুই যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর
রহমান ও বকুল মিয়া।
এদের মধ্যে একেএম আজাদ রহমান ও সাইফুল ইসলাম জামিনে, গোলাম মোস্তফা
সোহেল, মোস্তফা কামাল ও আতিকুর রহমান হাজতে আছেন। বাকি পাঁচজন পলাতক।