মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক
পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সড়ক নির্মাণের একটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সময়
প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
রাজধানীর শেরে বাংলা
নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।
বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও
কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী
বলেন, “বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা প্রচুর রোড করেছি। এখন আমাদের মেইন
টার্গেট হওয়া উচিত বিল্ডিংয়ের চেয়ে মেইনটেইন্যান্স। যে সড়কগুলো আমরা বানিয়েছি এগুলোর
সুরক্ষা দিতে হবে, শক্তিশালী করতে হবে, আপগ্রেডিং করতে হবে, প্রশস্ত করতে হবে।
“খালি নতুন নতুন সড়ক
না বানিয়ে বর্তমানে হাতের সড়কগুলোকে চালু রাখেন, ভালো করেন এবং রিপেয়ার করেন। এটাই
ছিল আজকে তার মেইন বার্তা।”
মান্নান বলেন, “বৈঠকে
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন প্রচুর সড়ক হয়ে গেছে। আপাতত একটু ব্রেক দেন নতুন নির্মাণে। পুরনোগুলোকে
সংরক্ষণ করুণ।“
এদিনের বৈঠকে সড়কের
দুটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর একটি ১ হাজার ৮৪২
কোটি টাকা ব্যয়ে শেরপুর (কানাসাখোলা)-ভীমগঞ্জ-নারায়ণখোলা-পরানগঞ্জ-ময়মনসিংহ (রহমতপুর)
সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প।
দিনাজপুর সড়ক বিভাগের
হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি-ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমানে উন্নীতকরণসহ সরু, জরাজীর্ণ
কালভার্ট পুর্ননির্মাণ এবং বাজার অংশ রিজিড পেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণে অনুমোদিত অপর
প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪৬৪ কোটি টাকা।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী
বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনার কথাও তুলে
ধরেন।
“তার ধারণা আইটি ট্রেনিং
সম্পর্কে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা প্রয়োজন। ভালো একটা সম্ভাবনা এ সেক্টরে।
কমবয়সী ছেলে মেয়ে অথবা নারী পুরুষ দেশের অনেকেই ভালো আর্ন (আয়) করছে। এটা সকলের ভালো
করে জানা উচিত।”
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন,
“এ খাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরকারের আরও বিনিয়োগ বাড়ানোর চিন্তা করছেন বলে জানিয়েছেন।“