ক্যাটাগরি

ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা বাড়াতে ১১০০ কোটি টাকার প্রকল্প

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশের প্রতিটি অঞ্চলের বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও)
সেক্টরের তরুণ উদ্যোক্তা ও ফ্রিল্যান্সাদের একই প্ল্যাটফর্মে আনতে ‘শেখ
কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন’
শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকে এই
প্রকল্প অনুমোদন পায়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হয়েছিলেন তিনি।

সভা শেষে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, “তথ্য
প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। এ খাতে আমাদের ফ্রিল্যান্সাররা
ভাল করছে।

“সম্ভাবনাময় এই খাতের উদ্যোক্তাদের আরও দক্ষ করে
গড়ে তোলা ও সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনায় অবকাঠামোগত
সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি এবং আইটি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে একাডেমিয়ার সেতুবন্ধনে এই প্রকল্প
অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে গৃহীত প্রকল্পটি বাংলাদেশ
হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করবে। ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি
শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও
ময়মনসিংহ এই সাত বিভাগের ১৪ জেলায় আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা
হবে।

এদিনের বৈঠকে এটিসহ প্রায় ৫ হাজার ৮২৬ কোটি টাকা ব্যয়ের ১১টি উন্নয়ন
প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

এই ব্যয়ের মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকার সংস্থান
হবে, নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে ১ হাজার ২২০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা এবং প্রকল্প
সহায়তা হিসেবে আসবে প্রায় ৬৪২ কোটি টাকা।

প্রকল্পগুলো

>> ‘বাপবিবো’র
বিদ্যমান ৩৩/১১ কেভি পোল মাউন্টেড উপকেন্দ্রের নবায়ন ও আধুনিকায়ন (পর্যায়-১)’
প্রকল্প। ব্যয় ৬৭৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

>> ‘নেসকো এলাকায় স্মার্ট
ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম বাস্তবায়ন’ প্রকল্প। ব্যয় ২৪১
কোটি টাকা।

>> ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল
পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন (তৃতীয় সংশোধিত)’
প্রকল্প; এতে ব্যয় বাড়ছে ৫৫৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

>> ‘লোকাল গভর্নমেন্ট
ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (১ম সংশোধিত)’
প্রকল্প। ব্যয় ১৩৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

>> ‘শেখ জহুরুল হক পল্লী
উন্নয়ন একাডেমি, যশোর প্রতিষ্ঠাকরণ’ প্রকল্প।
ব্যয় প্রায় ১৯৯ কোটি টাকা।

>> ‘মিঠামইন উপজেলার
ঘোড়াউতরা, বোলাই-শ্রীগাং নদীর অংশবিশেষ ও ইটনা উপজেলার ধনু নদী, নামাকুড়া নদী এবং
অষ্টগ্রাম উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর অংশ বিশেষের নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার’
প্রকল্প। ব্যয় ৩৪২ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

>> ‘আনসার ও গ্রাম
প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার (১ম পর্যায়ে ৪০টি) নির্মাণ’ প্রকল্প।
ব্যয় ৬৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

>> ‘দিনাজপুর সড়ক
বিভাগাধীন হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি-ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়ক (এন-৫২১) যথাযথ মানে
উন্নীতকরণসহ ৩টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্ট পুনঃনির্মাণ
এবং বাজার অংশে রিজিড পেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ’ প্রকল্প।
ব্যয় ৪৬৩ কোটি ৭২ লাখ টাকা।

>> ‘শেরপুর
(কানাসাখোলা)-ভীমগঞ্জ-নারায়ণখোলা-পরানগঞ্জ-ময়মনসিংহ (রহমতপুর) সড়ক উন্নয়ন’
প্রকল্প; ব্যয় ১ হাজার ৮৪২ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

>> ‘১০০টি উপজেলায় একটি
করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।
ব্যয় ১৮৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা।