গ্রেপ্তার
মো. খলিল মিয়া (৪৫) বিদেশে লোক পাঠানোর ‘দালাল’ হিসেবে কাজ করে বলে র্যাব
জানায়।
সোমবার
রাতে গাজীপুর জেলার সদর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস।
তিনি জানান, এক নারী সৌদি আরব যাওয়ার
জন্য দালাল খলিলের কাছে তার পাসপোর্ট হস্তান্তর করেন। খলিল ওই নারীকে নিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সিতে যান এবং মেডিকেলসহ
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরিতে সহায়তা করেন।
গত বছর
২৬ নভেম্বর বিকালে ওই নারীকে তার ভিসা ও পাসপোর্ট নেওয়ার জন্য খিলগাঁও তালতলা সিটি
সুপার মার্কেটের পেছনে খলিল যে ব্যাচেলর মেসে থাকেন সেখানে আসতে বলেন।
“ব্যাচেলর মেসে গেলে কেউ না
থাকার সুযোগে খলিল তাকে রুমে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন,”- সংবাদ সম্মেলনে বলেন র্যাব কর্মকর্তা।
এ ঘটনা প্রকাশ করলে
ওই নারীর সৌদি আরবযাত্রা বাতিল করাসহ নানা ধরনেরে ভয়-ভীতি দেখানো হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “বিদেশযাত্রা বাতিল হওয়ার
ভয়ে ওই নারী
ঘটনা গোপন রাখেন।”
পরে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি সৌদি আরব পৌঁছালে আকামার জন্য
মালিকপক্ষ তার মেডিকেল টেস্ট করে। তখন ওই নারী
জানতে পারেন তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
র্যাব জানায়, মালিকপক্ষ গত ৮ এপ্রিল ওই নারীকে বাংলাদেশে ফেরত
পাঠালে তিনি সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিকে বিষয়টি জানান এবং খলিলের কাছে তার
অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় দাবি করেন।
এক পর্যায়ে
খলিল কৌশলে পালিয়ে গেলে ওই নারী খিলগাঁও থানায়
মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক
জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।