মঙ্গলবার দুপুরে নয়া
পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আগামী ১২ মে
ঢাকা মহানগরে এবং ১৪ মে সারাদেশে জেলা পর্যায় বিক্ষোভ সমাবেশের সিদ্ধান্ত হয়েছে
বিএনপি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের
ওপর হামলার অভিযোগ তুলে ফখরুল বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে আপনারা লক্ষ্য করেছেন, সারা
দেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে অন্যান্য বিরোধী
দলের নেতাদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে সারাদেশে একটা সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।
“কুমিল্লার
দাউদকান্দিতে আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের উপর
হামলা ও তার বাসভবনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণ এবং পরবর্তীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের
বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
সোমবার কুমিল্লার ঘটনা
তুলে ধরে ফখরুল বলেন, “চান্দিনায় এলডিপি মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের
গাড়িতে হামলা ও তাকে গ্রেপ্তার, ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের
সদস্য অধ্যাপক জয়নাল আবেদীনের ওপর হামলা হয়েছে।
“পটুয়াখালীর সদস্য সচিব
স্নেহাংশু সরকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দেওয়াসহ সাতক্ষীরা,
নারায়ণগঞ্জ, পটুয়াখালীর নেতাদের ওপর হামলা করেছে ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীরা’।”
জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচি
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর
রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ১০ দিনের কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।
আগামী ২৯ মে থেকে ৭ জুন
পর্যন্ত এ কর্মসূচির মধ্যে জিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, সেমিনার,
আলোকচিত্র প্রদর্শনী রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়া
পল্টনের সংবাদ সম্মেলন মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের প্রতিটি অঙ্গ সংগঠন আলাদাভাবে কর্মসূচি
পালন করবে। ৩০ মে ঢাকা মহানগর এবং সারাদেশে জেলা পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণের কর্মসূচি
পালন করা হবে। কেন্দ্রীয় নেতারা এসব কর্মসূচিতে যাবেন।
সংবাদ সম্মেলনের আগে নয়া
পল্টনে বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে যৌথ সভা হয়। রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম
হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এবিএম মোশাররফ হোসেন,
তাইফুল ইসলাম টিপু, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি, মহিলা দলের
আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, মহানগর বিএনপির আমিনুল ইসলাম, যুব দলের সাইফুল
আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল
কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেন, মঞ্জরুল ইসলাম মঞ্জু, কৃষক দলের
হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাইদ আহমেদ খান, শফিকুল
ইসলাম চৌধুরী মিলন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের
আবদুর রহিম, উলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার, সেলিম রেজা, জাসাসের লিয়াকত আলী,
জাকির হোসেন রোকন, উলামা দলের মাওলানা ছাত্র দলের কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ,
সাইফ মাহমুদ জুয়েল তাতে অংশ নেন।