অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. এসএম
রেজাউল বারী বুধবার দুপুরে এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডিতরা হলেন প্রতিমা রানী
চৌধুরী (৪৫), আকাশ চৌধুরী (২৭) ও কাজল মহন্তকে (৩১); আমৃত্যু দণ্ডিত হলেন সাধনানন্দ
চৌধুরী (৬৩) এবং দশ বছর কারাদণ্ড হয় জীবন চন্দ্র দাসের (৩০)।
তাছাড়াও জীবন চন্দ্র দাসকে এক লাখ
টাকা জরিমানা দিতে হবে, যা অনাদায়ে তাকে আরও ছয়মাস সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
দণ্ডিত সবার বাড়ি দিনাজপুরের ফুলবাড়ী
উপজেলায়।
মামলার বরাতে পিপি রবিউল ইসলাম
জানান, সাধনানন্দ চৌধুরী তার প্রথম স্ত্রী তপতী রানী চৌধুরীর সঙ্গে সংসার করা অবস্থায়
২০১৪ সালে প্রতিমা রানী চৌধুরীকে বিয়ে করেন। এ নিয়ে প্রায়ই পারিবারিক কলহ হতো। ২০১৭
সালের ৬ এপ্রিল রাতে সাধন ও প্রতিমা মিলে তপতীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে তার মরদেহ
গ্রামের একটি বাঁশ বাগানে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শুভ নন্দ চৌধুরী
ফুলবাড়ী থানায় মামলা করেন বলে পিপি রবিউল জানান।
মামলার চার আসামিই ফৌজদারি কার্যবিধির
১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন
হামিদুল ইসলাম।