ক্যাটাগরি

ফখরুলকেই ‘বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপ’ দিতে বললেন কাদের

বুধবার বনানীর সেতু ভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মির্জা ফখরুলদের অবস্থাই এখন শ্রীলঙ্কার মত হয়েছে।

“আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ, সময়মত সম্মেলন করে না; এমন ব্যর্থ নেতার পদত্যাগ করা উচিত। এদের বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপ দেওয়া দরকার।”

বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “ক্ষমতায় থাকার সময়ে সরকার কোনো শিক্ষা নেয়নি। এদের (শ্রীলঙ্কা) চেয়েও খারাপ অবস্থা হবে।

“শ্রীলঙ্কাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে না সব। দেখেন এরা বঙ্গোপসাগরে ঝাঁপিয়ে পড়বে।”

এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার ওবায়দুল কাদের বলেন, “শ্রীলঙ্কার অবস্থা নিয়ে বাংলাদেশের কিছু কিছু রাজনৈতিক দল আত্মতুষ্টিতে ভুগছে। বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার বাস্তবতা এক নয়।”

বিএনপি ‘অতীতের ব্যর্থতা আড়াল করতে’ নানা ঘটনায় ‘আশ্রয় খুঁজেছে’ বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তার ভাষায়, বিএনপি “কখনও আরব বসন্ত স্বপ্ন দেখছে। আবার কখনও পরাশ্রয়ী আন্দোলনে ভর করে ক্ষমতায় যাবার দিবাস্বপ্ন দেখছে। তারা হেফাজতে ভর করেছে, কোটা বিরোধী, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনেও স্বপ্ন দেখেছিল।”

কাদের বলেন, “ভারতের সরকার পরিবর্তনের পর তো ফুল আর মিষ্টি নিয়ে বন্ধের দিনেও দূতাবাসের দরজায় গিয়ে অপেক্ষায় ছিল, কখন ক্ষমতায় যাওয়ার বার্তা আসে। এসব সক্ষমতাহীন, মেরুদণ্ডহীন একটি ব্যর্থ সাময়িক আত্মতুষ্টিতে ভোগা রাজনৈতিক দলের আর কিছুই নেই।”

সরকার পদত্যাগ না করলে বিএনপি এবার নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে যে ঘোষণা দলটির নেতারা দিচ্ছেন, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।

“গত নির্বাচনের আগে নির্বাচনে না আসার কথা বললেও পরে শেষ পর্যন্ত পানি ঘোলা করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। সংসদে যাবে না বলে পরে ঠিকই সংসদেও গেছে।”

এদিন সেতু ভবনে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে সয়াবিন তেলের মজুদ ও সরকারের অভিযান নিয়েও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সয়াবিন তেলের মুল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি যারা মজুদদার, এদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করছে সরকার।

“জনগণ সরকারের সদিচ্ছা দেখতে পাচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীলতা আশা করি। অবৈদ মজুদ করে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করবেন না। গুটি কয়েক অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীর কারণে সরকার বাজার অস্থিতিশীল হতে দিতে পারে না।”