ক্যাটাগরি

আলুটিলায় নতুন স্থাপনা, বদলে গেছে পর্যটন কেন্দ্রের চেহারা

মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে এই পর্যটন কেন্দ্রটি নান্দনিক রূপে হাজির হয়েছে পর্যটকদের সামনে।   

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, তাদের অর্থায়নে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ঝুলন্ত ব্রিজ, নন্দনকানন পার্ক, কুঞ্জছায়া ভিউ পয়েন্ট ও স্বর্ণতোরণ। 

এছাড়া অ্যাম্ফিথিয়েটার ও খুমপুইরেস্ট হাউস নির্মাণের কাজ শেষ পযায়ে। 

নতুন নান্দনিক স্থাপনায় সৌন্দর্য বেড়েছে খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে। ছবি: সমির মল্লিক

নতুন নান্দনিক স্থাপনায় সৌন্দর্য বেড়েছে খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে। ছবি: সমির মল্লিক

এসব স্থাপনা নির্মাণের পর পর্যটকদের বাড়তি আর্কষণে পরিণত হয়েছে আলুটিলা। এতে জেলার পর্যটন অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।  

সরেজমিনে দেখা যায়, আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের প্রবেশমুখে নির্মাণ করা হয়েছে স্বর্ণতোরণ। পর্যটন কেন্দ্রের ভেতরে নির্মাণ করা হয়েছে ঝুলন্ত সেতু; যার দৈর্ঘ্য ১৮০ ফুট। ঝুলন্ত এই সেতু আলুটিলার দুই পাহাড়কে সংযুক্ত করেছে। এতে করে পর্যটকরা এক পাহাড় থেকে  অন্য পাহাড়ে যাতায়াত করতে পারছে।

এই ব্রিজ পার হলেই নন্দন পার্ক, কুঞ্জছায়া ভিউ পয়েন্ট। রয়েছে নির্মীয়মাণ অ্যাম্ফিথিয়েটার ও খুমপুই রেস্ট হাউস।

আলুটিলা থেকে খাগড়াছড়ি শহরের দৃশ্য দেখতে পাওয়া বাড়তি আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে। ছবি: সমির মল্লিক

আলুটিলা থেকে খাগড়াছড়ি শহরের দৃশ্য দেখতে পাওয়া বাড়তি আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে। ছবি: সমির মল্লিক

নতুন নান্দনিক স্থাপনা হওয়ায় খুশি পর্যটকরা।

আলুটিলায় বেড়াতে আসা চেমি দেওয়ান, ত্বনি বড়ুয়া বলেন, কয়েক বছর আগেও এখানে মানুষ কেবল প্রাকৃতিক গুহা দেখার জন্য আসত। অন্য কোনো স্থাপনা ছিল না। সব বয়সী পর্যটক গুহায় প্রবেশ করতে পারত না। কিন্তু এখন এটি অত্যন্ত মনোরম।

ঝুলন্ত ব্রিজ, পার্ক প্রভৃতির কারণে এই কেন্দ্র আগের চেয়ে অনেক বেশি মনোরম বলে জানান তারা। 

আলুটিলা থেকে খাগড়াছড়ি শহরের দৃশ্য দেখতে পাওয়া বাড়তি আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে। ছবি: সমির মল্লিক

আলুটিলা থেকে খাগড়াছড়ি শহরের দৃশ্য দেখতে পাওয়া বাড়তি আকর্ষণ পর্যটকদের কাছে। ছবি: সমির মল্লিক

আলুটিলাকে ঘিরে ‘মাউন্টেন ট্যুরিজমের’ ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।

তাই সরকারি উদ্যোগর পাশাপাশি বেসরকারিভাবে আলুটিলায় বিনোয়াগের সুযোগ সৃষ্টির অনুরোধ জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আলুটিলা আমাদের প্রধান পর্যটন আর্কষণ। বর্তমানে আলুটিলায় যেসব পর্যটন বান্ধব স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে তার কাজ শেষ হলে দেশের পর্যটন অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে। তবে পর্যটন এলাকায় বেসরকারিভাবে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি নতুন নতুন রির্সোট কটেজ গড়ে উঠবে। পর্যটকদের রাত যাপনের পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

খাগড়াছড়ির আলুটিলায় বেড়েছে পর্যটক সমাগম। ছবি: সমির মল্লিক

খাগড়াছড়ির আলুটিলায় বেড়েছে পর্যটক সমাগম। ছবি: সমির মল্লিক

খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, খাগড়াছড়িতে পর্যটনই অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত। তাই পর্যটন অর্থনীতির বিকাশের স্বার্থে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমরা বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছি। এতে পর্যটক সমাগম বেড়েছে। নান্দনিক ঝুলন্ত ব্রিজ, নন্দনপার্ক – এসব স্থাপনা পর্যটকদের আরও মুগ্ধ করবে।  

“পাহাড়ের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে নির্মাণ করা হচ্ছে অ্যাম্ফিথিয়েটার; এটির নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। এসব স্থাপনা নির্মাণে  সাত কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।”