সম্প্রতি সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে
স্পেসএক্সের আগের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যের ওপরই গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির
প্রেসিডেন্ট গেন শটওয়েল।
মার্চ মাসেই একই পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন
স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক। ২০২৯ সালের মধ্যে রেড প্ল্যানেট খ্যাত মঙ্গলে একদল
নভোচারী পাঠাতে চান তিনি। এর আগে অবশ্য ২০২৪ সালের মধ্যে মঙ্গলে নভোচারীদের পাঠানোর
কথা বলেছিলেন মাস্ক। তবে, টেসলা ও স্পেসএক্স কাণ্ডারী নিজেই আবার স্বীকার করেছেন যে
লক্ষ্য অর্জনে অনেক ক্ষেত্রেই সময় বেশি লেগে যায় তার।
সিএনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মঙ্গলের
আগে চাঁদে নভোচারীদের অবতরণের লক্ষ্যের কথা বলেছেন শটওয়েল। স্টারশিপ রকেট ব্যবহার করে
নভোচারীদের আর্টেমিস প্রকল্পের অধীনে চাঁদে পৌঁছাতে ইতোমধ্যেই স্পেসএক্সের সঙ্গে চুক্তি
করেছে নাসা। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট জানিয়েছে, ২০২৫ সালেই আবার চাঁদে পা দিতে পারেন
পৃথিবীর মানুষরা।
শটওয়েল আশা করছেন, মঙ্গলে একটি ক্রুবিহীন
অভিযান সফল হলে মানব নভোচারী পাঠানো নিয়ে সংশ্লিষ্টদের আগ্রহ আরও বাড়বে।
“আমার মনে হয় মঙ্গলপৃষ্ঠে আগে বেশ কিছু
গুরুত্বপূর্ণ জিনিস পাঠাতে হবে এবং তারপর মানুষ এ বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দিয়ে ভাববে।
আর তার পরের পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যেই মানুষ মঙ্গলকে বাস্তব গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা
করা শুরু করবে।”
সিনেট জানিয়েছে, ২০২৪ থেকে ২০২৬ সালের
মধ্যেই মঙ্গলে বড় আকারের সরবরাহ পাঠানো হতে পারে। স্টারশিপের পরবর্তী ফ্লাইট জুন বা
জুলাই মাসে হতে পারে বলে বাণিজ্য প্রকাশনা ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন শটওয়েল। মঙ্গল অভিযানে
স্পেসএক্সের বাজির ঘোড়া এই স্টারশিপ রকেট।
স্টারশিপের টেস্ট ফ্লাইটের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের
‘ফেডালের এভিয়েশন এডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)’র অনুমতির অপেক্ষা করছে স্পেসএক্স। আশপাশের
পরিবেশের ওপর স্টারশিপের সম্ভাব্য প্রভাব পরীক্ষা করে তারপর অনুমোদন দেবে এফএএ। সম্প্রতি
পরিবেশগত মূল্যায়নের দিন পিছিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি।
স্পেএক্সের সুপার হেভি বুস্টার রকেটে চড়ে
মহাকাশের উদ্দেশ্যে রওনা হবে স্টারশিপ। টেক্সাসের লঞ্চপ্যাড থেকে মহাকাশে পাঠানো রকেটটি
পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছে আবার পৃথিবীতে ফিরে হাওয়াই-এর আশপাশে সাগরে অবতরণ করবে স্টারশিপ।
আর, বুস্টার রকেটটির অবতরণ করার কথা রয়েছে
গালফ অফ মেক্সিকোর একটি অফশোর প্ল্যাটফর্মে।