পুলিশ সুপার সুপার মো. শহীদুল ইসলাম
নিজ কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গাজীপুরের সালনা থেকে বুধবার
ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত মহিন উদ্দিন (৬০) কবিরহাট উপজেলার
উত্তর সোন্দলপুর গ্রামের বাসিন্দা।
গ্রেপ্তার হয়েছেন মহিন উদ্দিনের মেয়ে
শাহিনা আক্তার (৩৭), তার স্বামী মো. নুরনবী সুমন (৪০) ও তাদের ছেলে মো. ইউছুফ
শামীম (১৮)। শাহিনা আক্তারকে বিয়ের পর নুরনবী ঘরজামাই হিসেবে থাকতেন মহিনের বাড়িতে।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ৩০
এপ্রিল ওই গ্রামে নিজ বাড়িতে খুন হন মহিন। ঘটনার পর তাড়ি থেকে মেয়ে, মেয়ের স্বামী ও
তাদের দুই ছেলে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার বিবরণে তিনি আরও বলেন, “প্রথমে মহিনকে
ধাক্কা দিয়ে শাহিনা পানিতে ফেলে দেয়। পানি থেকে উঠার পর নুরনবী ও ইউসুফ তাকে কিল-ঘুষি
দিতে থাকে। এতে গুরুতর অসুস্থ্ হয়ে পড়েন মহিন। পরে স্বজনেরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন,
ঘটনার কয়েক মাস আগে মহিন ঘরজামাই নুরনবীর কাছে কিছু সম্পত্তি বিক্রি করেন। সম্পত্তি
বুঝিয়ে দেওয়া নিয়ে শ্বশুর-জামাইয়ের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। এর জেরে ৩০ এপ্রিল
বাকবিতণ্ডা হলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পরদিন নিহতের আরেক মেয়ে কবিরহাট
থানায় একটি হত্যা মামলা করেন বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।