ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সাসেক্সের হয়ে মাঠে নামেন
পুজারা ও রিজওয়ান। এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন দুইজনই। ব্যাট হাতে পুজারা
আলো ছড়ালেও এখনও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি রিজওয়ান। তবে একটি ম্যাচে দুজনে গড়েছিলেন
দারুণ এক জুটি।
ডারহ্যামের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ষষ্ঠ উইকেটে পুজারার সঙ্গে ২৭৫
বল স্থায়ী ১৫৪ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান। ৭৯ রানে রিজওয়ান আউট হলেও ভারতীয় অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান
করেন ডাবল সেঞ্চুরি।
এখন পর্যন্ত ওই একবারই ফিফটি করতে পেরেছেন রিজওয়ান। আর পুজারা
চার ম্যাচেই পেয়েছেন সেঞ্চুরির স্বাদ, যেখানে আবার দ্বিশতক দুটি। দৃঢ় সংকল্প মনোভাবের
জন্য পরিচিত পুজারার এই গুণ মুগ্ধ করেছে রিজওয়ানকে। ক্রিকউইককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন,
অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান থেকে অনেক কিছু শিখছেন তিনি। পাশাপাশি তাকে খোঁচানোও বেশ উপভোগ
করছেন রিজওয়ান।
“বিশ্বাস
করুন, আমার কাছে কোনো ধরনের অদ্ভুত লাগেনি (পুজারার সঙ্গে খেলা)। যদিও আমি তার সঙ্গে
ঠাট্টা করি এবং তাকে অনেক জ্বালাতন করি।”
“তবে তিনি
অনেক ভালো মানুষ এবং তার একাগ্রতা ও মনোযোগ অবিশ্বাস্য। কারো থেকে যদি কিছু শেখার থাকে,
তাহলে সেটা অবশ্যই নেওয়া উচিত। আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি একাগ্র ও দৃঢ়চেতা যে
খেলোয়াড়কে আমি চিনি তিনি হলেন ইউনিস ভাই। এরপর ফাওয়াদ আলম। এই তালিকায় পুজারাও তাদের
সঙ্গী।”
অভিজ্ঞটায় টইটুম্বুর পুজারা ইংল্যান্ডে কীভাবে ব্যাটিং করতে
হয়, সেসবের ধারণাও দিচ্ছেন রিজওয়ানকে।
“আমার
প্রচেষ্টা কোন জিনিসটি এই তিনজনকে এতো মনোযোগী ও দৃঢ় সংকল্প করে তা নিজের জন্য খোঁজা।
প্রথম কিছু দিনে, শরীর থেকে দূরের বল খেলতে গিয়ে আমি দুইবার আউট হয়েছি। এখন এটা প্রকাশ্য
যে, আমি শরীর থেকে দূরের বল তাড়া করতে চাই।”
“পাকিস্তানে
সুইং ও সিম খুব একটা দেখা যায় না, এই সব শট খেলে অনেক রান করা যায়। ইংল্যান্ডে আমি
দূরের বল তাড়া করে দুইবার আউট হয়েছি। এরপর তাকে (পুজারা) আমি নেটে খুঁজলাম এবং তিনি
আমাকে বললেন, ‘পাকিস্তান কিংবা এশিয়ায় আমরা জোর করে ড্রাইভ করতে অভ্যস্ত। ইংল্যান্ডে
এটা করার দরকার নেই।’ আরেকটা বিষয় তিনি আমাকে ধরিয়ে দিলেন যে, ইংল্যান্ডে শরীরের
কাছ থেকে খেলতে হবে।”
ভারত-পাকিস্তানের মাঠের লড়াইয়ে উত্তেজনা ছড়ায় অনেক। কিন্তু
রিজওয়ান বললেন, শুধু ভারত নয় যেকোনো দলের বিপক্ষেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে স্রেফ মাঠ
পর্যন্তই। দিনশেষে, সবাই থাকেন একই পরিবারের সদস্য হয়ে।
“ক্রিকেটের
এই সংঘ আমাদের পরিবার। কেউ ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের… সদস্য এটা কোনো বিষয়ই না। লড়াইটা মাঠেই সীমাবদ্ধ থাকে।”
“আমরা
যদি বলতে শুরু করি, আমাদের বিরাট কোহলি, আমাদের পুজারা, আমাদের স্মিথ কিংবা আমাদের
রুট, এটা ঠিক হবে না। এখানে আমি শাহিন শাহ আফ্রিদির সঙ্গে দেখা করেছি। বাবর আজম, হাসান
আলি ও শাদাব খানের সঙ্গেও করব।”
১৫০তম ও ১৫১তম ক্রিকেটার হিসেবে সাসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করছেন
পুজারা ও রিজওয়ান। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের মৌসুম পুরোটা খেলবেন দুইজন। সাদা
বলের লড়াইয়ে থাকবেন না পুজারা। টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত খেলবেন
রিজওয়ান।