বৃহস্পতিবার শহরের রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজকরা জানান, সম্মেলনে চারশ কাউন্সিলর ও ছয়শ ডেলিগেটর থাকেবেন। সম্মেলনস্থলে থাকবেন তিনশ স্বেচ্ছাসেবী।
এদিকে, সম্মেলন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে শহরে বাইরের যানবাহন প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে সম্মেলনস্থল পরিদর্শন করে দেখা গেছে, জেলা নেতারা সম্মেলনস্থল প্রস্তুতের কাজ তদারকি করছেন। পুরো মাঠ জুড়ে বাঁশ ও শামিয়ানা দিয়ে প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। মাঠের পূর্ব পাশে নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে মূল মঞ্চ। মঞ্চের পাশে সাংবাদিকদের বসার স্থান করা হয়েছে। পেছনে ছাউনির আদলে স্থাপন করা হয়েছে বড় এলইডি টিভি। দুদিনের বৃষ্টিতে মাঠের ঘাসে পানি জমে যাওয়ায় সেখানে বালি দিয়ে পানি কাদা অপসারণের কাজ চলছে।
দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন জানান, সম্মেলন বাস্তবায়নে গঠিত প্রস্তুতি কমিটি ও বিভিন্ন উপকমিটি নিরলসভাবে কাজ করছে। বৈরী আবহাওয়াকে মাথায় রেখেই সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
জেলা সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, “সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। স্মরণকালের সেরা সম্মেলন উপহার দিতে পারব বলে আশা করছি।”
আয়োজকরা জানান, সম্মেলনস্থলে ১৫ হাজার নেতাকর্মীর বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাঁচশ সিলিং ফ্যানের পাশাপাশি থাকছে সিসি ক্যামেরা। ঢাকা থেকে মাইক [কলরেডি] ভাড়া করে আনা হয়েছে। প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী সম্মেলনস্থল ও আশেপাশে উপস্থিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২০১৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ফরিদপুর শহরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তুহিন লস্কর জানান, সম্মেলনে ব্যাপক জনসমাগমের উপস্থিতিকে মাথায় রেখে শহরে যান চলাচল সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শহরের প্রবেশমুখ ভাঙ্গা রাস্তার মোড় থেকে বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল ও রিকশাসহ অন্যান্য যান প্রবেশ বন্ধ থাকবে। নেতাকর্মীরা হেঁটে সম্মেলনে যোগ দিবেন।
শহরের মধ্যে সীমিত পরিসরে যান চলাচল করলেও স্টেশন রোড রেল ক্রসিং, টেপাখোলা সোনালী ব্যাংকের মোড়, লালের মোড় পাসপোর্ট অফিসের সামনের সড়কে কোনো ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারবে না বলে জানান তুহিন।
এছাড়া কমলাপুর পিডব্লিউডি অফিসের সামনে, পানির ট্যাংকের সামনে, টিএন্ডটি অফিসের সামনের সড়ক, মাতৃমঙ্গল হাসপাতালের সামনের মোড় এবং অফিসার্স ক্লাবের সামনের সড়কে গাড়ি চলবে না।