ক্যাটাগরি

বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ সফর নয়: অর্থমন্ত্রী

বুধবার
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

অহেতুক
ব্যয় কমাতে উদ্যোগ নেওয়া হলেও সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বেড়ে গেছে বলে
অভিযোগ উঠছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেগুলো আপনারা দেখছেন, এগুলো
আগের অ্যাপ্রুভাল নেওয়া। সে সমস্ত ক্ষেত্রে আমরা অনুমোদন দিয়েছি।

“প্রধানমন্ত্রী
স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, এখন থেকে কোনো
প্রয়োজন না থাকলে বিদেশ সফর আর নয়। যদি কোনো বিশেষ প্রয়োজন
হয়, তাহলে তারা যাবেন; অন্যথায় কেউ
যাবেন না। এটা কমানো হবে।”

‘জরুরি নয়’- এমন প্রকল্প পরে বাস্তবায়ন করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন,
“যেসব প্রকল্প এখন না করে ছয় মাস পর করলে কোনো সমস্যা বা ক্ষতি হবে না, সেগুলো স্থগিত থাকবে।”

রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের
প্রভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্বের যে
সার্বিক অবস্থা সেটি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। সুসময়ের জন্য,
এক্সটারনাল ভার্নাবিলিটিগুলোর সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত অনেক কঠিন
সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।

“…যেসব প্রকল্প আমরা করতে চেয়েছিলাম, আমরা যদি মনে করি সেগুলো
এখন না করলেও সমস্যা নাই সেগুলোকে আমরা পরবর্তী সময়ের জন্য রেখে দেব, এভাবে আমরা সমন্বয় করছি। এখানে কোনো কিছু কমতি না,
শুধু সময় ইফেকটিভলি ম্যানেজ করতে চাই।”

কত
দিন এভাবে সমন্বয় করতে হবে,
এমন প্রশ্নের উত্তরে মুস্তফা কামাল বলেন, “আপনি
বলতে পারবেন না, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ কবে থামবে। মূল কারণ
তো একটাই, এ মূহুর্তে কোভিড নাই।… এখন শুধুমাত্র যুদ্ধের প্রভাব
সারাবিশ্বে ছড়িয়ে গেছে। সবাই এটা নিয়ে কষ্ট পাচ্ছে।” 

জিডিপির
হিসাব নিয়ে অর্থনীতিবিদদের সংশয় প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “আমরা যেভাবে
জিডিপির হিসাব করি, একইভাবে হিসাবটি করছি। আমরা কোনো কোম্পানিও যুক্ত করিনি, আমরা যেভাবে হিসাব করতাম, সেখানেও পরিবর্তন আনিনি। আমি মনে করি, আমরা ঠিক
আছি।

“…এ পর্যন্ত আমরা যা বলেছি, আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ
অন্যান্য কেউ তো আপত্তি করে না। তারা আমাদের সাথে একমত, সেটা
দেখলেই বুঝা যায়। চারদিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন দেশের অর্থনীতি কতোটা শক্তিশালী ও
বেগবান।”

আপত্তি
থাকলে সংশ্লিষ্ট অর্থনীতিবিদদের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে আলাপ করার পরামর্শ
দেন মুস্তফা কামাল।