এর ফলে আগামী দুই বছরের মধ্যে জনগণ ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনার সুফল পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে আট বিভাগে ৮টি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা হয়।
পাশাপাশি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি ও স্যাটেলাইট ছবি সংগ্রহ এবং ছবি শ্রেণিভুক্ত করতে আলাদা দুটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর রহমান চৌধুরী সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, চার বছর মেয়াদি প্রকল্পের দুই বছর ইতোমধ্যে অতিক্রম করেছে। ২০২৪ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা।
“আশা করছি আগামী দুই বছরের মধ্যে জনগণ এর সুফল পাবে। ঘরে বসেই ভূমি সংক্রান্ত সেবা নিতে পারবেন। ফলে ঘাটে ঘাটে দালাল বা অন্যান্য মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমবে।”
রংপুর বিভাগে ১৩ হাজার ৩০৪টি মৌজা ম্যাপ শিট ডিজিটালাইজডে ১২ কোটি ৯৯ লাখ ৮২ হাজার ৬৭০ টাকায় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্টকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
একই ভাবে রাজশাহী বিভাগে ১৭ হাজার ৬৪১টি মৌজা ম্যাপ শিট ডিজিটাল করতে ১৭ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার ৯৯৪ টাকায় একই প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
খুলনা বিভাগে ৪২ হাজার ১৭১টি মৌজা ম্যাপ শিট ডিজিটাল করতেও ২৭ কোটি ৯৪ লাখ ২৭ হাজার ১৩০ টাকায় কাজ পেয়েছে ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন।
ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ হাজার ৮৯৮টি মৌজা ম্যাপ শিট ডিজিটালাইজডে ১৩ কোটি ৪০ লাখ ১২ হাজার ৮৯৭ টাকায় দেশ উপদেশ লিমিটেড ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট সার্ভিসকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
সিলেট বিভাগের ১০ হাজার ২০৪টি মৌজা ম্যাপ শিট ডিজিটাইজকরণের ১৪ কোটি ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৩৪০ টাকায় ডাটা এক্সপোর্ট ও মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশনের জয়েনভেঞ্চারকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
ঢাকা বিভাগে ১৮ হাজার ৭৭৯টি মৌজা ম্যাপ শিট ডিজিটালাইজডে ১৭ কোটি ৮০ লাখ ১১ হাজার ৫০৫ টাকায় ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং ও সিনেসিস আইটির জয়েন ভেঞ্চারকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বরিশাল বিভাগে ৮ হাজার ৭৯৩টি মৌজা ম্যাপ শিট ডিজিটাইজকরণে ১২ কোটি ৩৯ লাখ ১ হাজার ৩৯২ টাকায় একই জয়েন ভেঞ্চারকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ হাজার ৬২২টি মৌজা ম্যাপ শিট ডিজিটালাইজডে ২৩ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৪ টাকায় বেটস কনসালটিং ও মেগাটেক জিএনবিডির জয়েন ভেঞ্চারকে নিয়োগ করা হয়।
এছাড়া ডাটাবেইজ ম্যানেজমেন্ট ও ভিজ্যুয়ালাইজেশেনের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসাবে ২ কোটি ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৪০৯ টাকায় ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট ও সিনেসিস আইটির জয়েনভেঞ্চারকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এছাড়া সমগ্র দেশের স্যাটেলাইট ইমেজ সংগ্রহ এবং ইমেজ ক্লাসিফিকেশনের জন্য ৬৪ কোটি ৬৪ লাখ ৪৮ হাজার ৬ টাকায় সেন্টার ফর এনভাইরনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসকে নিয়োগ করা হয়।