একই সঙ্গে
তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাকে ‘সরকারের হয়রানিমূলক মামলা’ দাবি করে সেটিও প্রত্যাহারের
দাবি জানানো হয়।
বুধবার
বিকালে কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকায় একটি পার্টি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে দলের কুমিল্লা
উত্তর জেলা নেতারা এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এলডিপির কুমিল্লা উত্তর জেলা সভাপিত মো. সামছুল হক মাস্টার।
লিখিত বক্তব্যে
মো.সামছুল হক মাস্টার বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেদোয়ান আহমেদ কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা)
আসন থেকে চারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী।
তিনি অভিযোগ
করেন, গত সোমবার চান্দিনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ হামলা
চালিয়ে তার গাড়ি ও পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছেন এবং তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে পরিবারের
সদস্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন।
“এরপর আত্মরক্ষার্থে
রেদোয়ান চান্দিনা থানায় আশ্রয় নিতে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর মিথ্যা মামলা
দিয়ে কারাগারে পাঠায়। আমরা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
তিনি রেদোয়ান
আহমেদসহ সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন এবং দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তির দাবি করেন।
গত সোমবার
চান্দিনা উপজেলা সদরের ‘রেদোয়ান আহমেদ কলেজ ক্যাম্পাস-২’-এর মমতাজ আহমেদ ভবনের সামনে
এলডিপি ও ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ পাল্টাপাল্টি ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ওইদিন দুপুরে
রেদোয়ান আহমেদ গাড়ি নিয়ে এলে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা
কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তার গাড়িতে তরমুজের টুকরা ও ঢিল এসে পড়ে। এ সময় রেদোয়ান আহমেদ
পর পর দুটি গুলি করলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের দুই কর্মী আহত হন।
এ সময় ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবক
লীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া খেয়ে রেদোয়ান চান্দিনায় থানায় আশ্রয় দিলে পুলিশ তাকে আটক করে।
পরে এ ঘটনায়
রেদোয়ান আহমেদসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন চান্দিনা
পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী আখলাকুর রহমান জুয়েল।
সংবাদ সম্মেলনে
এলডিপির চান্দিনা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমসহ
দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।