দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সৌদি আরবের তেল ও গ্যাস উৎপাদক কোম্পানি আরামকো প্রায় দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো শীর্ষস্থান ছিনিয়ে নিয়েছে আইফোন নির্মাতার কাছ থেকে।
বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ছেড়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে “ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের” বিষয়টি উঠে এসেছে বিবিসির প্রতিবেদনে।
“যেদিকে বিনিয়োগকারীরা মনে করেন ঝুঁকি কম, তারা সাধারণত সেদিকেই যেতে চান।”
বিটকয়েন, অন্যান্য প্রধান ক্রিপ্টোমুদ্রাসহ প্রায় সব ডিজিটাল সম্পদের বেলাতেও ব্যাপক মূল্যপতনের বিষয়টি অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার শেয়ারমূল্য পাঁচ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়ে দিনশেষে অ্যাপলের বাজারমূল্য দাঁড়ায় দুই দশমিক ৩৭ ট্রিলিয়ন বা দুই লাখ ৩৭ হাজার কোটি ডলারে।
এর ফলে অ্যাপল অবস্থান হারায় সৌদি তেল ও গ্যাস উৎপাদক আরামকোর কাছে, যার বাজার মূল্য দুই লাখ ৪২ হাজার কোটি ডলার।
২০২০ সালের পর এই প্রথম আরামকো শীর্ষস্থানে পৌঁছালো। অপরিশোধিত তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ বছর পুঁজিবাজারে জ্বালানি উৎপাদকদের মূল্য বেড়েছে।
অপরদিকে, প্রযুক্তি কোম্পানির শেয়ার ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতায় অ্যাপলের শেয়ারমূল্য বছরের শুরুর অবস্থান থেকে শতকরা প্রায় ২০ ভাগ নেমে এসেছে।
সরকারি হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি চলছে। এরই মধ্যে, নিউ ইয়র্কের পুঁজিবাজার ন্যাসডাক, যেখানে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ভীড় বেশি, সেখানে বুধবার সূচকে পতন ঘটেছে তিন দশমিক দুই শতাংশ।
কোভিড-১৯ মহামারী পরবর্তী বিশ্ব অর্থনীতির চাকা সচল করার চেষ্টায় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিই এখন সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এর সমাধানের উপায় হিসেবে বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে, ঋণের পেছনে খরচ বেড়ে যাওয়ার ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি কমার শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা সরে আসছেন ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ থেকে।
ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ ত্যাগের এই প্রবণতার ফলেই বিটকয়েনের দামও চলে আসে ২৭ হাজার ডলারের নিচে। গত বছরের নভেম্বরে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্রিপ্টো মুদ্রা বিটকয়েন এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ শতাংশ মূল্য হারিয়েছে।
ইথার, ইথেরিয়াম ব্লকচেইন নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত ডিজিটাল মুদ্রার মূল্যও ব্যাপক হারে কমে দুই তৃতীয়াংশে এসে ঠেকেছে।