বুধবারেই ডরসি টুইট করেছেন, “নাহ, আমি
আর কখনোই সিইও হবো না।” টুইটারের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ডরসি, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী
দায়িত্ব পালন করেছেন দুই মেয়াদে। ইলন মাস্কের সাম্প্রতিক টুইটার অধিগ্রহণ নাটকীয়তার
জেরেই গুজব রটেছিল, ডরসিকে আবার টুইটার প্রধানের পদে আনতে পারেন তিনি।
তবে ডরসি বলছেন, শেষ পর্যন্ত টুইটারে
কোনো সিইও থাকাই উচিত নয়। এক্ষেত্রে ডরসি সম্ভবত ‘ব্লুস্কাই’-এর দিকে ইঙ্গিত করছেন
বলে উঠে এসেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জের প্রতিবেদনে। ‘ব্লুস্কাই’ প্রকল্পটির মূল
উদ্দেশ্যই হচ্ছে ভবিষ্যতে টুইটারকে প্রথাগত সামাজিক মাধ্যম থেকে একটি বিকেন্দ্রীক প্ল্যাটফর্মে
পরিণত করা।
টুইটার নেতৃত্বের সঙ্গে ডরসির ইতিহাস
বেশ পুরনো। প্রতিষ্ঠার দুই বছরের মাথায় ২০০৮ সালে ডরসিকে ভোট দিয়ে প্রধান নির্বাহীর
পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল টুইটারের তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদ। ২০১৫ সালে আবার প্রধান নির্বাহীর
পদে ফেরেন ডরসি।
এরপর, ২০২০ সালে আবার ডরসিকে সরাতে তৎপর
হয়েছিল পরিচালনা পর্ষদ। কোম্পানির পরিচালকদের অভিযোগ ছিল, নিজ দায়িত্বে পুরো মনোযোগ
দিচ্ছেন না তিনি, উদ্ভাবনী কাজও কম। পরিচালকদের দ্বিতীয় চেষ্টা আর সফল হয়নি। তবে, ২০২১
সালের নভেম্বর মাসে নিজেই প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
ডরসির প্রস্থানের পর প্রধান নির্বাহীর
পদে আসেন ডরসির কাছের মানুষ পারাগ আগরাওয়াল। তবে, সম্ভবত বিদায় ঘণ্টা বাজছে তার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে একাধিক
বার্তাসংস্থা জানিয়েছে, অধিগ্রহণ চুক্তি সম্পন্ন হলে ইলন মাস্ক নিজেই টুইটারের অস্থায়ী
প্রধান নির্বাহীর পদে বসবেন। এখনই, এক সঙ্গে টেসলা, স্পেসএক্স ও বোরিং কোম্পানির নেতৃত্ব
দিচ্ছেন মাস্ক। এমন পরিস্থিতিতে তিনি আদৌ টুইটারে প্রয়োজন অনুযায়ী সময় দিতে পারবেন
কি না, উঠেছে সেই প্রশ্ন। আর তারই জেরে গুজব রটেছিল, প্রধান নির্বাহীর পদে ডরসিকে ফিরিয়ে
আনতে পারেন মাস্ক।
মাস্কের সঙ্গে আলাদা সখ্যতাও রয়েছে ডরসির।
সম্প্রতি টুইটারের নানা বিষয় নিয়ে টুইটারেই অভিযোগ তোলা শুরু করেছেন তিনি। কোম্পানির
বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ডরসি খুশি নন, তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও বক্তব্য থেকে এমন ইঙ্গিতই
মেলে বলে মন্তব্য করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।