বৃহস্পতিবার
দুপুরে ঢাকার আদালতে বহুল আলোচিত এই মামলার রায় হয়। তাতে ৪৬ আসামিরই সাজা হয়।
হারুনকে
দেওয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ড। সেইসঙ্গে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয় তাকে। এই
অর্থ দিতে না পারলে তাকে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে।
জামিনে
মুক্ত থাকা হারুন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর অন্য আসামিদের সঙ্গে
তাকেও গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ হয়।
তবে
বিকালেই কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইই)
হাসপাতালে ভর্তি করাতে দেখা যায়।
জানতে
চাইলে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “উনাকে
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
এ
বিষয়ে বিস্তারিত কিছু আর বলতে চাননি কারা কর্তকর্তাদের কেউ।
বিএসএমএমইউ হাসপাতালের
পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিকেলের
দিকে কার্ডিয়াক প্রবলেম নিয়ে হাসপাতালে এলে তাকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।”
সাবেক
সেনাপ্রধান হারুন (৭৪)একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম গঠনের
সময় সদস্য সচিব ছিলেন। ডেসটিনি কেলেঙ্কারির পর তাকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
গ্রাহকদের
কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে ১০ বছর আগে দুর্নীতি দমন
কমিশন (দুদক) ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করলে ২০১২ সালে কারাগারে যেতে
হয়েছিল অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারুনকে। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
রফিকুল-হারুনসহ ডেসটিনির ৪৬ জনের সাজা, ২৩০০ কোটি টাকা জরিমানা