বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক দলীয় সভায় তিনি বলেন, “নিরক্ষরতার
জন্য নির্বাচনে দেশে নামের পাশে প্রতীক ব্যবহার করতে হয়। কারণ সবাই প্রার্থীর নাম পড়ে
ভোট দিতে পারে না। এমন বাস্তবতায় ইভিএমে ভোট নেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না।”
ইভিএমে ব্যালট পেপার না থাকায় এর ফল নিয়ে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না
উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ভোটিং মেশিন যে রেজাল্ট
দিবে, তাই ঘোষণা হবে। বিষয়টি হচ্ছে, দেশের মানুষকে চাঁদে পাঠাতে চাচ্ছে সরকার, কিন্তু
সেখানে বসবাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি।”
এভাবে চললে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষা করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন
তিনি।
বনানীতে দলীয় চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তরের মতবিনিময় সভায়
সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা কাদের বলেন, “দেশে
গণতন্ত্র নেই, একদলীয় স্বৈরশাসন চালু হয়েছে। সংবিধানকে কাটাকাটি করে স্বৈরতন্ত্রকে
বৈধতা দেওয়া হয়েছে। ১৯৯১ সালের পর থেকে সাংবিধানিক স্বৈরশাসন চলছে দেশে।”
সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর
এক উপদেষ্টা বলেছেন, দেশে কোনো বেকার নেই। অথচ দেশে বেকারের সংখ্যা পাঁচ কোটি। যারা
দেশের বেকারত্ব বোঝে না, তারা মানুষের কষ্টও বোঝে না। যারা মানুষের কষ্ট বোঝে না, তাদের
দেশ পরিচালনার অধিকার নেই।”
কাউকে ক্ষমতায় বসাতে জাতীয় পার্টি কারও সঙ্গে জোট করবে না উল্লেখ করে
তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টি মানুষের স্বপ্ন
পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।”
জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টুর সভাপতিত্বে
সভায় দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ
সেলিম, যুগ্ম মহাসচিব সামছুল হক, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জুও বক্তব্য দেন।