ক্যাটাগরি

প্রেমের সম্পর্কে দ্বিতীয় সুযোগ

ভালোলাগা থেকেই দুটি মানুষ ভালোবাসার
দিকে পা বাড়ায়। তবে প্রথম দেখাতেই কারও প্রতি ভালোলাগা তৈরি হবে, আর না হলে যে জুটি
হিসেবে সামনে এগোনো যাবে না এমনটা ধরে নেওয়াও ঠিক নয়।

কারও সঙ্গে প্রথমবার দেখা করেই নিজেকে
পুরোপুরি যেমন তুলে ধরা যায় না তেমনি অপরজনকেও পুরোপুরি বোঝা যায় না।

তাই সম্ভাব্য জুটি হিসেবে একবার দেখাতেই
কাউকে বাদ দেওয়ার আগে আরেকটা সুযোগ দিতে সমর্থন দেন একাধিক সম্পর্ক-বিষয়ক বিশেষজ্ঞ
ও মনোবিজ্ঞানি। 

যুক্তরাষ্ট্রের সনদস্বীকৃত ‘সাইকোথেরাপিস্ট
জানিন ইল্সলি বলেন, “প্রথম দেখার সঙ্গে সঙ্গে ভালোলাগা ভালোবাসা হয়ে যাবে এমন কাউকে
যদি খোঁজা হয়, তবে জীবনভর খুঁজতেই থাকতে হবে। আর সেই আশায় বসে থেকে হয়ত একাধিক আদর্শ
জীবনসঙ্গীকে অবহেলায় দূরে ঠেলে দেবেন।”

তাই ভরসা করে একটা ‘সেকেন্ড ডেট’য়ের সুযোগ
সবসময়ই নেওয়া উচিত।

ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে,
আরেক ‘সাইকোথেরাপিস্ট’ নিকোল ওহেবশালম (এলপিসি) ইল্সলির সঙ্গে সহমত হয়ে বলেন, “দ্বিতীয়
‘ডেট’ দুজনার মধ্যে একটা বোঝাপড়া কিংবা আগ্রহ গড়ে তুলতে পারে।”

যুক্তরাষ্ট্রের ‘রিলেশনশিপ অ্যান্ড সেক্স
থেরাপিস্ট’ মিশেল হারজগ বলেন, “একটি সত্যিকর সম্পর্কের বন্ধন রাতারাতি তৈরি হয়ে যায়
না। প্রথম দেখার দুতিন ঘণ্টায় তা হওয়া অস্বাভাবিক। আর হলে সেটা দীর্ঘমেয়াদে কতটুকু
স্থায়ী হবে সেটা নিয়েও প্রশ্ন থাকে। তাই প্রথম দেখায় মনে ভালোলাগা না জাগলেও কিছুদিন
সময় দিলে, একে অপরকে ভালোভাবে চিনলে ভালোলাগা তৈরি হতেও পারে।”

তবে এটাও ঠিক যে নিজের মনের বিরুদ্ধে
‘সেকেন্ড ডেট’য়ে যাওয়া উচিত নয়। যদি আপনি প্রথম দেখাতেই নিশ্চিত যে ওই মানুষটার সঙ্গে
সম্পর্ক গড়া যায় না, তবে বিরত থাকাই উচিত।

জেসিকা জেফারসন (এলএমএফটি) বলেন, “প্রথম
দেখায় আগ্রহ তৈরি হলে, গল্প জমে উঠলে, একে অপরের আগ্রহের বিষয়গুলো মিলে গেলে যাওয়া
তাৎক্ষণিক একটা ভালোলাগা তৈরি হয়, যাকে এক কথায় ‘ইনিশিয়াল স্পার্ক’ বলা হয়। তবে দীর্ঘস্থায়ি
সুখি জীবনে জন্য সম্পর্কের শুরুতে যে এমনটা হতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং দীর্ঘমেয়াদে
সেই মানুষটাই হয়ে উঠতে জীবনের ভুল সিদ্ধান্ত। তাই ‘স্পার্ক’ নিয়ে সময় নষ্ট না করে একে
অপরকে জানার বোঝার চেষ্টা করা উচিত। 

প্রথমেই উত্তেজনা! তেমন দরকারি নয়

যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত ‘ফ্যামিলি অ্যান্ড
ম্যারেজ থেরাপিস্ট’ শ্যারন গিলক্রিস্ট ও’নিল বলেন, “প্রথম দেখা করার দিনটায় অনেকেই
মানসিক চাপে থাকবেন। ফলে নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপনা করতে যেমন পারবেন না তেমনি অপরজনকেও
পুরোপুরি বুঝতে পারবেন না। আর এর উপর ভিত্তি করেই যদি সিদ্ধান্ত নেন, তবে তা ভুল হওয়ার
সম্ভাবনাই হবে বেশি।”

যেমন চাচ্ছেন তেমন না

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ম্যাচমেকার অ্যান্ড ডেটিং
কোচ’ হলি ব্যাটারি বলেন, “অনেকের একটি নির্দিষ্ট ধরনের মানুষ চাই জীবনসঙ্গী হিসেবে
আর তা চাওয়া দোষের কিছু নয়। তবে এটাও মানতে হবে যে আপনার সেই নির্দিষ্ট ধরনের মানুষ
একেবারে পুরোপুরি মিলিয়ে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই আদর্শ জীবনসঙ্গীর মাঝে যে বৈশিষ্ট্যগুলো
চান আর সামনে যে আছে তার যে বৈশিষ্ট্য তা মিলিয়ে দেখার পর কমবেশি মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টাটাও
থাকা উচিত। সামনের মানুষটার সঙ্গে সময় কাটিয়ে যদি ভালোলাগে তবে কিছু কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্য
তার মাঝে না থাকলেও তাকে আরেকবার সুযোগ দেওয়া উচিত।”

 

আরও পড়ুন


পরিচয়ের প্রথম সাক্ষাতে যেসব প্রশ্ন করা মানা
 

‘ডেইট’ সফল করার পন্থা
 

আয় যখন স্বামীর চেয়ে বেশি