বুধবার ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড
নামের ওই ব্রোকারেজ হাউজের একটি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট থেকে
ভালো কোম্পানির প্রায় ১২ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করা হয়; যা ২০১৮ সাল থেকে ‘বন্ধ’
বলে জানিয়েছেন বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ
রেজাউল করিম।
ওই একটি অ্যাকাউন্ট থেকে বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রি এদিন সূচক
পতনেও বড় ভূমিকা রাখে বলে মনে করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
রেজাউল জানান, লেনদেন পর্যবেক্ষণে বিষয়টি উঠে আসার
পর কমিশন যাচাই করে দেখতে পায়, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রিতে ব্যবহার করা
ওই অ্যাকাউন্ট ‘বন্ধ’ ছিল।
এ কারণে ওই ব্রোকারেজ হাউজের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার পাশাপাশি
বন্ধ বিও অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার বিক্রি করা যায় কি না সেটা জানতে ঢাকা স্টক
এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে
(সিডিবিএল) চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে কমিশনের মুখপাত্র বলেন,
“পাশাপাশি এই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্টের কাস্টডিয়ান এইচএসবিসির কাছে আমরা
জানতে চেয়েছি- তারা কেন বন্ধ অ্যাকাউন্টে বিক্রির আদেশ দিল।“
এ বিষয়ে ব্র্যাক ইপিএলের প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা আহসানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বিএসইসির
চিঠি পেয়েছি। এর জবাব যথাসময়ে দিয়ে দেব।”
বুধবার বড় দপতনে অধিকাংশ শেয়ার দর হারানোয়
প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৭৩ পয়েন্টের বেশি।
হঠাৎ করে সূচকের এমন পতনের কারণ খুঁজতে গিয়ে নিয়ন্ত্রক
সংস্থার পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, কয়েকটি বিও অ্যাকাউন্ট থেকে ভালো কোম্পানির ‘বড় মাত্রার’
শেয়ার বিক্রি এদিন সূচকের পতন দ্রুত করতে প্রভাব ফেলেছে।
কমিশনের মুখপাত্র রেজাউল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেন, “আজকে যে সমস্ত শেয়ার পুঁজিবাজারের সূচক কমাতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে সে
ধরনের শেয়ার কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজ থেকে বেশি বিক্রি হয়েছে। আমরা খুঁজে এরকম দুই
তিনটি অ্যাকাউন্ট বের করি- যেখান থেকে গ্রামীণফোন, স্কয়ার
ফার্মা ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর মত কোম্পানির
শেয়ার বিক্রি হয়েছে।
“সেখান থেকে টেস্ট বেসিসে একটি অ্যাকাউন্টের খোঁজ নিয়ে আমরা
জানতে পারি সেটি ২০১৮ সাল থেকে বন্ধ আছে। আর এটি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্ট।”
‘বন্ধ’ অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার বিক্রির বিষয়ে ব্র্যাক
ইপিএলের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।