প্রিমিয়ার লিগে গত বুধবারের ম্যাচে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সকে ৫-১ গোলে হারায় সিটি। এর চারটিই করেন ডে ব্রুইনে, অন্যটি রাহিম স্টার্লিং।
লিগে সিটির চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে এক ম্যাচে চার বার জালের দেখা পেয়েছেন ডে ব্রুইনে। অন্য তিনজন হলেন সের্হিও আগুয়েরো (৩ বার), এদিন জেকো ও গাব্রিয়েল জেসুস।
চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৯ গোল করেছেন ডে ব্রুইনে। লিগে ২৮ ম্যাচে ১৫ বার জালের দেখা পেয়েছেন ৩০ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
উলভারহ্যাম্পটন ম্যাচের পর স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় ডে ব্রুইনের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন গুয়ার্দিওলা। শুধু গোলের জন্যই নয়, সব মিলিয়েই এই মিডফিল্ডারের খেলার ধরনে মুগ্ধ স্প্যানিশ কোচ।
“গত দুই বা তিন মাসে সে যেভাবে খেলছে, বিশেষ করে প্রিমিয়ার লিগে, তা সত্যিই অসাধারণ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও সে দারুণ খেলেছে। মৌসুমের শেষের অংশে সে আমাদের মূল খেলোয়াড় হয়ে উঠেছে।”
“এটা যে শুধুমাত্র গোলের সুযোগ তৈরি করা, গোল করা ও সবকিছু নয়, আমি খুশি কারণ তার সবসময় দলকে সাহায্য করার মানসিকতা আছে। সে অনেক উদার এবং সবসময় দলের জন্য সেরাটা ভাবে। তবে আমরা সবসময় তার আরও উন্নতি করার চেষ্টা করেছি, (বলেছি), ‘তোমাকে ম্যাচ জেতাতে হবে, তোমাকে গোল করতে হবে।’ এই বছরে (মৌসুম) আমি মনে করি, এই অর্থে (দলকে জেতানো ও গোল) এটা তার সবচেয়ে সফল মৌসুম।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে শেষ মুহূর্তে ধরাশায়ী হয়ে বিদায়ের পর বেশ সমালোচনা হয়েছে সিটি খেলোয়াড়দের মানসিকতা নিয়ে। বিশেষ করে দ্বিতীয় লেগে ১-০ ও দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে এগিয়ে থাকার পর তাদের হারের ধরন নিয়ে। দুই মিনিটে দুই গোল দিয়ে ৫-৫ সমতা টানার পর অতিরিক্ত সময়ের গোলে ফাইনালে জায়গা করে নেয় রিয়াল।
ইউরোপ সেরার মঞ্চের সেই ক্ষত পেছনে ফেলে নিউক্যাসল ইউনাইটেড ও উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে দুই ম্যাচে দারুণ জয়ে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা আরও কাছে চলে গেছে সিটি।
৩৬ ম্যাচে ২৮ জয় ও ৫ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৮৯। সমান ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লিভারপুল।
গুয়ার্দিওলা মনে করেন, তার খেলোয়াড়দের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই।
“এই ছেলেরা গত পাঁচ বছরে যা করেছে, এরপরও কি আপনাদের (তাদের সামর্থ্য নিয়ে) কোনো সন্দেহ ছিল? তাদের ব্যক্তিত্ব আছে, তাদের দৃঢ়তা আছে, তাদের সবকিছুই আছে।”