ক্যাটাগরি

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে ভারত, ঝরে পড়ছে উড়ন্ত পাখি

সম্প্রতি গুজরাট রাজ্যের উদ্ধারকর্মীরা মাটিতে পড়ে থাকা বেশ কিছু পাখি উদ্ধার করেছেন যেগুলো পানিশূন্য ও কাহিল হয়ে পড়েছিলো।

রাজ্যের সবচেয়ে বড় শহর আহমেদাবাদের প্রাণী চিকিৎসক ও প্রাণী উদ্ধারকর্মীরা জানান, তীব্র দাবদাহ চলায় তারা প্রতিদিনই এ ধরনের তৃষ্ণার্ত ও দুর্বল পাখি উদ্ধার করছেন যেগুলো উড়তে উড়তে শূন্য থেকে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত গরম ও পানিশূন্যতায় পাখিগুলো ওড়ার শক্তি হারিয়ে ফেলছে।

ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে একটি পশু হাসপাতালে তীব্র গরমে কাহিল পাখিগুলোকে মাল্টি-ভিটামিন ট্যাবলেট ও পানি খাওয়াচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ছবি: রয়টার্স

ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে একটি পশু হাসপাতালে তীব্র গরমে কাহিল পাখিগুলোকে মাল্টি-ভিটামিন ট্যাবলেট ও পানি খাওয়াচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ছবি: রয়টার্স

বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, কয়েক বছর ধরে গ্রীষ্ম শুরুর আগের সময়টিতে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকছে, এতে দক্ষিণ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে খরা দেখা দিয়েছে; এ সময়টিতে অগ্নিকাণ্ডের উচ্চ ঝুঁকি নিয়ে  দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ।

আহমেদাবাদের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান জীবদয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট পরিচালিত পশু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, গত কয়েক সপ্তাহে তারা হাজার হাজার পাখিকে চিকিৎসা দিয়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা দৈনিক কয়েক ডজন পাখি আনছেন যার মধ্যে কবুতর ও চিলের মতো অনেক উঁচুতে ওড়া পাখিও রয়েছে।

এক দশক ধরে পাখি উদ্ধার কাজে নিয়োজিত এবং এই ট্রাস্টের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করা প্রাণি উদ্ধারকর্মী মনোজ ভাভসার বলেন, “চলতি বছরটি সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে অন্যতম বাজে একটি বছর। পাখি উদ্ধার করতে গিয়ে আমরা দেখছি এবার ১০ শতাংশ বেশি পাখি উদ্ধার করতে হচ্ছে।”

বুধবার ওই হাসপাতালের চিকিৎসদের পাখিগুলোকে মাল্টি-ভিটামিন ট্যাবলেট ও পানি খাওয়াতে দেখা গেছে।

তাপমাত্রা বাড়ায় গুজরাটের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা হাসপাতালগুলোকে হিট-স্ট্রোক ও অন্যান্য দাবদাহজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ওয়ার্ড স্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছেন।