ক্যাটাগরি

দুর্বল আসানি এল উপকূলে, ঝরাচ্ছে বৃষ্টি

বঙ্গোপসাগরের এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশেও
বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে, কয়েক দফা ভারী বর্ষণে ভিজেছে রাজধানী ঢাকাও।

আরও অন্তত দুদিন (শুক্রবার পর্যন্ত) বৃষ্টির
প্রবণতা থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল
কালাম মল্লিক।

তিনি বলেছেন, “দেশের
সর্বত্র বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। ১৪ মে থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে।”

বৃহস্পতিবার
রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের
অধিকাংশ জায়গায় দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির আভাস
দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ঝড়ে দুর্যোগের শঙ্কা কাটলেও সাগর বিক্ষুব্ধ
থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি
সঙ্কেত এখনও দেখিয়ে যেত বলেছে আবহাওয়া অফিস।

গত শুক্রবার দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপ
সৃষ্টি হওয়ার পর তা ঘনীভূত হয়ে শনিবার নিম্নচাপ এবং পরে গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয়। এরপর
দ্রুত শক্তি বাড়িয়ে রোববার ভোরে এটি পরিণত হয় ঘূর্ণিঝড়ে। তখন এটি ‘আসানি’ নাম পায়। পরদিন পরিণত হয় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে।

এই ঝড়ের গতিপথ দেখে এক পর্যায়ে ধারণা করা
হচ্ছিল, এটি সাগরেই দুর্বল হয়ে পড়বে, আর উপকূলের কাছ ঘেঁঘে অদ্ভুত গতিপথে আবার সাগরে
ফিরে হারিয়ে যাবে।

কিন্তু মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট তাইফুন
ওয়ার্নিং সেন্টার এই ঝড়ের উপকূলে ওঠার শঙ্কার কথা জানায়, যদিও ততক্ষণে এটি শক্তি হারিয়ে
প্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে।

এটি শক্তি আরও হারিয়ে গভীর নিম্নচাপ হয়ে বুধবার
সন্ধ্যার পর অন্ধ্র প্রদেশের মছলিপত্তম ও নারসাপুরের মধ্য দিয়ে উপকূলে উঠে আসে বলে
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।

এসময় গভীর নিম্নচাপটির কেন্দ্রের বাতাসের
একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫৫ থেকে ৬৮ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়ার আকারে ৭৫ কিলোমিটার
পর্যন্ত বাড়ছিল।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, নিম্নচাপটির প্রভাবে
অন্ধ্রের পাশাপাশি উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলে
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

বর্তমানে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়া আসানির
পরবর্তী গতিপথ বাঁক খেয়ে আবার সাগরের দিকে রয়েছে। বুধবার মধ্যরাত থেকে এটি বাঁক দিয়ে
বিপরীত দিকে সাগরের পথে এগোতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলছে।

উড়িষ্যার বিশেষ ত্রাণ কমিশনার প্রদীপ কুমার
জেনা বলেছেন, ঝড়টির এই বাঁক বদলের কারণে রাজ্যে বড় ধরনের দুর্বিপাকের শঙ্কা নেই। তবে
ভারী বর্ষণ হতে পারে।

বৃষ্টি ঝরাতে ঝরাতে আরও দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপটি
বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে বলে ভারতের আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে
বলা হয়েছে। আর হারিয়ে যাওয়ার আগে শুক্রবার এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হবে।

 

পুরনো খবর

শক্তি হারিয়ে ‘আসানি’ পরিণত ঘূর্ণিঝড়ে, যাচ্ছে অন্ধ্রে

অস্থিরমতি আসানি উপকূল পেরোবে?

স্থলে আর ‘উঠছে না আসানি’, ঝরাচ্ছে বৃষ্টি

প্রবল ঘূর্ণিঝড় আসানি কোন পথে যাচ্ছে?

সাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’, ৬ অঞ্চলে বইছে তাপপ্রবাহ