কেবল অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের সঙ্গেই ব্যবহার
করা যাবে গুগলের স্মার্টওয়াচ। ৪জি সংযোগ সুবিধা আছে ডিভাইসগুলোতে, অর্থাৎ ফোন হাতের
কাছে না থাকলেও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে ডিভাইটি। তবে, একই মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার
করতে হবে স্মার্টওয়াচ এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোনটির।
ডেভেলপারদের জন্য আয়োজিত বার্ষিক সম্মেলনে
নতুন ডিভাইসটি দেখিয়েছে গুগল। এখনও এর দাম জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি। তবে, ডিভাইসটি ‘প্রিমিয়াম
পণ্য’ হবে বলেই জানিয়েছে গুগল।
বিবিস বলছে, পিক্সেল ওয়াচ দিয়ে সরাসরি
অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের বিপরীতে অবস্থান নিচ্ছে গুগল। স্মার্টওয়াচ বাজারের একটা বড় অংশ
দখল করে রেখেছে এই দুই প্রতিষ্ঠান।
বাজারের অন্যান্য নির্মাতাদের তৈরি বেশ
কিছু স্মার্টওয়াচে গুগলের ‘ওয়্যার’ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হলেও, এটি ব্যবহার উপযোগী
নিজস্ব কোনো ডিভাইস ছিল না গুগলের।
এ প্রসঙ্গে গুগলের ডিভাইস ও সেবাবিষয়ক
জেষ্ঠ্য ভাইস-প্রেসিডেন্ট রিক ওস্টারলোহ বলেন, ‘গুগলের নিজস্ব ইকোসিস্টেম এবং ফিটবিটের
দক্ষতার’ সমন্বয় পণ্যটিকে অসাধারণ করে তুলছে।
বাজারে গুজব ছিল, অ্যাপল ওয়াচের সঙ্গেও
ব্যবহার করা যাবে গুগলের পিক্সেল ওয়াচ। তেমনটা হচ্ছে না বলেই নিশ্চিত করেছে গুগল।
২০১৯ সালেই দুইশ ১০ কোটি ডলারে ফিটবিট
কিনে নিয়েছিল গুগল। প্রথম অবস্থায় অধিগ্রহণ চুক্তিটি ইউরোপিয়ান কমিশনের তদন্তের মুখে
পড়লেও পরে তা অনুমোদন পায়।
তবে, অনুমোদন পেতে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি
দিতে হয়েছিল গুগলকে। সামনের দশ বছরে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে তৃতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের স্মার্টওয়াচ
ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত না করার প্রতিশ্রুতি দিতে বাধ্য হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
এ ছাড়াও ফিটবিটের ডেটা বিজ্ঞাপনী কাজে
ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছে গুগলকে। বিবিসিকে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, স্বাস্থ্য
ডেটা অন্যান্য ডেটা থেকে আলাদা রাখতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে পিক্সেল ওয়াচ ছাড়াও নতুন দুুটি পিক্সেল
ফোনের ঘোষণা দিয়েছে গুগল। এর মধ্যে ‘পিক্সেল ৬এ’-কে উপস্থাপন করা হয়েছে বাজেটবান্ধব
ডিভাইস হিসেবে। আর ‘পিক্সেল ৭’-কে বলা হচ্ছে প্রিমিয়াম পণ্য। জুলাই মাসে বিক্রি শুরু
হবে ডিভাইসগুলোর।
এ ছাড়াও নতুন পিক্সের ট্যাবলেটের ঘোষণা
দিয়েছে গুগল, ২০২৩ সালে বাজারে আসবে ডিভাইসটি।
সমালোচকদের কাছে পিক্সেল ফোন সমাদৃত হলেও
বিশ্ব বাজারে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারেনি ডিভাইসগুলো। ফেব্রুয়ারি মাসেই গুগলের প্রধান
নির্বাহী সুন্দার পিচাই জানিয়েছিলেন, ২০২১ সালের শেষ তিন মাসে পিক্সেল ফোন বিক্রির
রেকর্ড করেছে তার প্রতিষ্ঠান। তবে, গুগল ঠিক কতোগুলো পিক্সেল ফোন বিক্রি করেছে, সে
সংখ্যা জানাননি তিনি।
তবে ওস্টারলোহর বলেছেন, বৈশ্বিক চিপ সঙ্কটের
নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল গুগলের হার্ডওয়্যার ব্যবসায়। “সরবরাহ ব্যবস্থায় জটিলতা না থাকলে
আমরা আরও বেশি সংখ্যক পিক্সেল বিক্রি করতাম,” বলে দাবি করেছেন তিনি।