বৃহস্পতিবার
সকালে ফটিকছড়ি থানায় মামলাটি করেন ৪৭ বছর বয়সী ওই গৃহকর্মী। মামলায় আরও দুজনকে
ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা
হলেন- ফটিকছড়ি উপজেলা আনসার ভিডিপি কমান্ডার সাইদুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়
উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা (ফটিকছড়ির সাবেক) হুমায়ুন কবির। অন্য দুজন হলেন ফটিকছড়ির
সুন্দরপুর ইউনিয়ন আনসার কমান্ডার ইয়াকুব আলী ও আরেক গৃহকর্মী শিখা শীল।
ফটিকছড়ি
থানার ওসি কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আনসার কর্মকর্তা ও
নির্বাচনী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
এজাহার
থেকে জানা গেছে, উপজেলা সদরে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি ভবনে ভাড়া থাকতেন উপজেলা
আনসার কমান্ডার সাইদুল ইসলাম, নির্বাচনী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির। ওই বাসায় রান্নার
কাজ করতেন অভিযোগকারী নারী।
গত
২৭ মার্চ ওই বাসায় সাইদুল ও হুমায়ুন ওই নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে
মামলায়।
ঘটনার
সময় হুমায়ুন কবীর ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। গত
২৮ এপ্রিল তিনি ফটিকছড়ি থেকে খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় বদলি হন।
ধর্ষণের
মামলার বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে হুমায়ুন বলেন, তিনি এর কিছুই জানেন না।
অন্য
আসামি সাইদুল বলেন, “গত
বছরের নভেম্বরে ফটিকছড়িতে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে একটি পক্ষ
ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ মামলা করেছে।”