২০১১ সালের ডিসেম্বরে সিমেওনে যখন আতলেতিকোর দায়িত্ব পান, শিরোপা তো বহুদূর, সমীহ জাগানো দলও ছিল না তারা। গড়পড়তা দলটিকে সময়ের সঙ্গে নিজের মতো করে গড়ে নেন, তার দল এখন ইউরোপের শীর্ষ দলগুলোর একটি।
সিমেওনের কোচিংয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৮টি শিরোপ জিতেছে আতলেতিকো। লা লিগা জিতেছে দুই বার, সবশেষটি ছিল গত মৌসুমে। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তারা ফাইনাল খেলেছে ২০১৪ ও ২০১৬ সালে। দুবারই তাদের হারিয়েছিল নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ।
লা লিগায় এলচের বিপক্ষে গত বুধবার আতলেতিকোর ২-০ গোলে জেতা ম্যাচটি ছিল মাদ্রিদের ক্লাবটির কোচ হিসেবে সিমেওনের ৪০০তম ম্যাচ।
লম্বা পথচলায় পাশে থাকার জন্য ক্লাব ও খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিমিওনে।
“এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, ক্লাবের হয়ে খেলা সব খেলোয়াড়দের ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। আমি কৃতজ্ঞ ও ভাগ্যবান কারণ, ক্লাব সব সময় আমাকে সমর্থন দিয়েছে। আমি এখন সব খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানাই, যারা আমাকে এটা (আতলেতিকোর কোচ হিসেবে ৪০০ ম্যাচ) সম্ভব করার সুযোগ করে দিয়েছে।”
এলচের বিপক্ষে জয়ের মধ্য দিয়ে লিগে সেরা চার নিশ্চিত করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে আতলেতিকো।
৩৬ ম্যাচে ২০ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বর স্থানে আছে তারা। সমান ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে বার্সেলোনা।
এরই মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়া রিয়ালের পয়েন্ট ৮১, তারা ম্যাচ খেলেছে ৩৫টি।
লিগ শিরোপা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেও পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিশ্চিত করতে পেরে খুশি সিমেওনে।
“আমি খেলোয়াড়দের জন্য খুশি, তাদের জন্য এটা একটা অধারাবাহিক মৌসুম ছিল। আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খুব ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম তবে লা লিগায় আমরা ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারিনি।”
“আমাদের লক্ষ্য (লা লিগায় সেরা চারে থাকা) ইতিমধ্যেই অর্জিত হয়েছে। এটা আমাদের প্রাপ্য, আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং এটা আমাদের আরও এক বছরের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে। ক্লাবের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”