ক্যাটাগরি

রাষ্ট্রীয় খরচে ৩ জন করে হজে পাঠাতে চান সংসদীয় কমিটির সদস্যরা

এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে
ধর্ম মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে কমিটি।

তবে মন্ত্রণালয় বলেছে,
বাংলাদেশ থেকে এ বছর আগের তুলনায় কম সংখ্যক মানুষ হজে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তাই
রাষ্ট্রীয় খরচে হজযাত্রী নেওয়ার সুযোগও কম। প্রত্যেক সদস্যকে দুজন প্রতিনিধি পাঠানোর
সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।

বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে
অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে সংসদীয়
কমিটির সভাপতি রুহুল আমীন মাদানী সাংবাদিকদের বলেন, “এ বছর আগের চেয়ে কম মানুষ হজে যাবেন। মন্ত্রী বলেছেন, সংসদীয় কমিটির
সদস্যরা দুজন করে প্রতিনিধি পাঠাতে পারবেন। তবে কমিটির সদস্যরা তিনজন করে পাঠানোর
সুযোগ দিতে বলেছেন। এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।”

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ফরিদুল হক খানসহ সংসদীয় কমিটির সদস্য ১০ জন। এর মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির
সভাপতি রুহুল আমীন মাদানী, সদস্য শওকত হাচানুর রহমান, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ,
জিন্নাতুল বাকিয়া, তাহমিনা বেগম ও রত্না আহমেদ।

সংসদীয় কমিটির ১০
সদস্যের প্রত্যেকের ৩ জন প্রতিনিধি হলে হজে পাঠাতে হবে মোট ৩০ জনকে। আর এবছর
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে জনপ্রতি খরচ হচ্ছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা থেকে ৫
লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা।

২০১৯ সালে সংসদীয়
কমিটির প্রত্যেক সদস্যের সুপারিশে পাঁচজন করে সরকারি খরচে হজে যাওয়ার সুযোগ
পেয়েছিলেন।

করোনাভাইরাস মহামারীর
কারণে সৌদি আরব বিদেশিদের সুযোগ না দেওয়ায় গত দুই বছর বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে
যাওয়ার সুযোগ পাননি।

সংসদ সচিবালয়ের এক
কর্মকর্তা জানান, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির সভায় সদস্যদের
প্রতিনিধিদের হজে পাঠানোর বিষয়টি আলোচনায় উঠেছিল। ওই সময় পাঁচজন করে প্রতিনিধিকে
হজ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করে।

সেই সুপারিশের
পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ধর্ম মন্ত্রণালয় জানায়, এবার বাংলাদেশ থেকে মোট
৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন
চার হাজার। তাই সরকারি খরচে হজ পালনে পাঠানোর সুযোগও এবার আগের তুলনায় কম। সে
অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংসদীয় কমিটির সদস্যরা
কেন সরকারি খরচে তাদের প্রতিনিধিদের হজে পাঠাবেন- এ প্রশ্নের জবাবে রুহুল আমীন
বলেন, “এটি আগে থেকেই হয়ে আসছে। যারা এই ধর্ম সংসদীয়
কমিটির সদস্য, তাদের উপর নির্বাচনী এলাকার মানুষের দাবি থাকে হজে পাঠানোর।”

বৈঠক শেষে সংসদ
সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আলেম নামধারী মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি’কে আসন্ন হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত না করার বিষয়ে লক্ষ রাখতে বলা
হয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে।