বৃহস্পতিবার ঢাকার ছয় নম্বর বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের দিন নির্ধারিত ছিল।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক
আসিফুজ্জামান শুনানির জন্য আগামী ৬ জুন দিন ঠিক করেন।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল
অভিযোগ গঠনের শুনানির কথা থাকলেও আসামিপক্ষের ‘প্রস্তুতি’ না থাকায় স্বাস্থ্য তা পিছিয়ে
দেন বিচারক।
আবুল কালাম আজাদ ছাড়াও এ মামলার
অন্য আসামিরা হলেন- রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা.
মো. দিদারুল ইসলাম। আসামিদের মধ্যে সাহেদ কারাগারে এবং বাকিরা জামিনে আছেন।
গত বছর আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত
কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
সেখানে আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে
লাইসেন্সের মেয়াদবিহীন রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক
স্বাক্ষর ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা
বিনামূল্যে পরীক্ষা করার অভিযোগ আনা হয়।
রিজেন্টকাণ্ড: স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল
আসামিদের বিরুদ্ধে মোট ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের
অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।
২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ
পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। সেখানে আবুল কালাম আজাদকে
আসামি করা না হলেও তদন্তে নাম আসায় চার্জশিটে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।