ক্যাটাগরি

শেষ সময় জয় হাতছাড়া আবাহনীর

সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দুই দলের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছে। প্রথম পর্বে শেখ রাসেলের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছিল আবাহনী।

এই ড্রয়ে শিরোপা লড়াই থেকে বেশ পিছিয়ে পড়ল আবাহনী। ১৫ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংস এখন ৬ পয়েন্টে এগিয়ে।

ম্যাচজুড়েই আবাহনীকে চাপে রাখে শেখ রাসেল। চতুর্দশ মিনিটে ভালো সুযোগও পায় তারা। রিচার্ড গাডজের বাড়ানো বল ধরে সাদউদ্দিন উইং দিয়ে আক্রমণে উঠে বক্সে ঢুকে পড়ে শটও নেন, কিন্তু বল বাইরের জাল কাঁপায়।

১৯তম মিনিটে চার্লস দিদিয়েরের পাস ধরে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠা ইসমাইল আকিনাদে গতি দিয়ে ডিফেন্ডারদের ছিটকে দেন। এরপর আগুয়ান গোলরক্ষককে কাটানোর পর বাইরের জাল কাঁপান। দারুণ সুযোগ হারানোর হতাশায় মাটিতে শুয়ে পড়েন শেখ রাসেলের নাইজেরিয়ান এই ফরোয়ার্ড।

আবাহনী প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করে ২৬তম মিনিটে; তবে বক্সের বাইরে থেকে রয়েলের নেওয়া জোরালো শট গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম আটকান। ৩৩তম মিনিটে রাফায়েল অগাস্তোর ছোট পাসে বক্সের বাইরে থেকে নিখুঁত শটে আবাহনীকে এগিয়ে নেন রয়েলই।

পরের মিনিটে আকিনাদের শট আবাহনী গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল গ্লাভসে জমাতে না পারলেও বল সাইড পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। বিরতির আগ মুহূর্তে ২৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধেও আবাহনীকে চাপে রাখে শেখ রাসেল। এ অর্ধের শুরুতেই আকিনাদের ভলি আটকান শহীদুল। একটু পর নাসিরউদ্দিন চৌধুরীর হেড ফিরে ক্রসবারে লেগে। শেখ রাসেলের হতাশা আরও বাড়ে ৮০তম মিনিটে। দেনিয়েল কলিনদ্রেস সোলেরাকে স্লাইডিং ট্যাকল করে সরাসরি লালকার্ড পান মানিক হোসেন।

অবশেষে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে হতাশার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসে শেখ রাসেল। রহমত মিয়ার কর্নারে দিদিয়েরের হেডের পর দীপক হেডেই খুঁজে নেন জাল। সমতার স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেখ রাসেল।

১৫ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে আছে শেখ রাসেল।