ক্যাটাগরি

‘সাশ্রয়ী মূল্যে’ সোয়া লাখ টন সার কিনছে সরকার

বুধবার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত
সচিব জিল্লুর রহমান চৌধুরী জানান, ইউরিয়া, টিএসপি ও ডিএপি মিলিয়ে সার কেনা বাবদ ব্যয়
হচ্ছে এক হাজার ১০ কোটি ৮৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭৫০ টাকা।

তিনি জানান, এতে আগের তুলনায় ‘সাশ্রয় হচ্ছে’এবং বছরের
গড় মূল্যের তুলনায় দাম কিছুটা ‘কম পড়ছে’।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ
কর্পোরেশন- বিসিআইসিকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির অধীনে কাতারের মুনতাজাত থেকে ১৬তম লটে ২২১
কোটি ২৩ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকায় ৩০ হাজার টন বাল্ক প্রিল্ড (অপশনাল) ইউরিয়া সার আমদানির
অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে প্রতি কেজির দাম পড়ছে ৭৩ টাকা ৭৪ পয়সা।

আরেক প্রস্তাবে বিসিআইসিকে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার
কোম্পানি- কাফকোর কাছ থেকে ১৭তম লটে ২২৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫০ টাকায় ৩০ হাজার টন
ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে প্রতি কেজি সারের দাম পড়ছে
৭৫ টাকা।

বৈঠকে সার কেনার আরও দুটি প্রস্তাব কৃষি মন্ত্রণালয়ের
প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে টেবিলে উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাব
দুটিরও অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি।

একটি প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সৌদি আরব থেকে
৩৪৮ কোটি ৯৪ লাখ ১০ হাজার টাকায় ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে
প্রতি কেজির দাম দাঁড়াচ্ছে ৮৭ টাকা।

আরেক প্রস্তাবে বিএডিসিকে তিউনিশিয়া থেকে রাষ্ট্রীয়
পর্যায়ে ২১৩ কোটি ৮৭ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকায় ২৫ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন
দেওয়া হয়। এতে প্রতি কেজির দাম পড়ছে ৮৫ টাকা।

এবার গত বছরের তুলনায় সারের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায়
সরকারের ভর্তুকিও বেড়ে গেছে। গত কয়েক বছর ধরে ৯ হাজার কোটি টাকা করে সারে ভর্তুকি দিয়ে
আসলেও চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হতে পারে বলে গত
জানুয়ারিতে আভাস দিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রতি
কেজি ইউরিয়া আমদানিতে ব্যয় হয় ৯৬ টাকা, টিএসপি ৭০ টাকা, এমওপি ৫৪ টাকা ও ডিএপিতে খরচ
হয় ৯৩ টাকা।

২০২০-২১ অর্থবছরে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের আমদানি
মূল্য ছিল ৩২ টাকা, টিএসপি ৩৩ টাকা, এমওপি ২৩ টাকা, ডিএপি ৩৭ টাকা।