বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ১৪ মিনিটে
ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে তিনি হাজিরা দিয়ে এ
আবেদন করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সাঁটলিপিকার
খাদেমুল ইসলাম জানান, এ দিন পরীমনিসহ
তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ঠিক থাকলেও কোনো সাক্ষীই আদালতে উপস্থিত
হননি।
অন্যদিকে পরীমনির ব্যক্তিগত আইনজীবী
হাজিরা মওকুফ চেয়ে আবেদন করলে বিচারক তা নথিভুক্ত করে শুনানির জন্য ২ জুন দিন ঠিক করেন। পাশাপাশি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্যও একই দিন ঠিক করে আদালত।
এর আগে গত ২৯ মার্চ মামলার
সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে পরীমনি অসুস্থ থাকায় সেদিন আদালতে উপস্থিত
হতে পারেনি। তার পক্ষে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী সময়ের আবেদন করেন। এ সময় অন্য
দুই আসামি আদালতে উপস্থিত হন৷ আর আসামিপক্ষের আইনজীবী আপিল ডিভিশনের আবেদনের কপি
আদালতে দাখিল করেন৷ এরপর বিচারক নজরুল ইসলাম সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১২ মে দিন ঠিক করেছিলেন।
গত ৪ অগাস্ট
রাতে ঢাকার বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের পর পরদিন তার
বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক আইনে এ মামলা করা হয়। র্যাবের জব্দ তালিকায় পরীমনির
বাসা থেকে ‘মদ
এবং আইস ও এলএসডির মতো মাদকদ্রব্য’ উদ্ধারের কথা বলা হয়।
পরীমনিকে
গ্রেপ্তারের পর র্যাব মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন বলেছিলেন, চিত্রনায়িকা পরীমনির ফ্ল্যাটে ‘মিনি বার’ ছিল। তিনি নিয়মিত মদ পান করতেন এবং ‘ঘরোয়া পার্টি’ আয়োজন করতেন। তার কাছে মদ ব্যবহারের
একটি লাইসেন্স পাওয়া গেলেও তার মেয়াদ শেষ হয়েছে ‘অনেক আগে’।
পরীমনিকে
গ্রেপ্তারের পর তিন দফা রিমান্ডে নেওয়া নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে হাই কোর্টও
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। পরে গত ৩১ অগাস্ট তার জামিনের আদেশ হয় বিচারিক আদালত
থেকে। পরদিন তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান।
তদন্ত শেষে গত ৪
অক্টোবর পরীমনিসহ তিনজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত
বিভাগ-সিআইডি।
এরপর এ বছর ১০ জানুয়ারি হঠাৎ করেই সন্তানসম্ভবা হওয়ার খবর দেন পরীমনি; তখনই চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আনেন। বৃহস্পতিবার আদালতে রাজও উপস্থিত হয়েছিলেন পরীমনির সঙ্গে।
নড়াইলের মেয়ে
শামসুন্নাহার স্মৃতির ২০১৫ সালে ঢাকার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে পরীমনি নামে। এরপর
দুই ডজন চলচ্চিত্রে নায়িকার চরিত্র রূপায়ন করেছেন তিনি।
গ্রেপ্তার হওয়ার
কয়েক মাস আগে ঢাকা বোট ক্লাবে যৌন নিপীড়িত হওয়ার অভিযোগ তুলে শোরগোল তুলেছিলেন
পরীমনি। তার করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে
অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।