বৃহস্পতিবার
তারা এই হুঁশিয়ারি দেয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
একইদিন
ইউক্রেইন দাবি করেছে, তারা কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবাহিনীর একটি রসদবাহী জাহাজের ক্ষতি করেছে।
সাম্প্রতিক
দিনগুলোতে ওই অঞ্চলে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ইউক্রেইনের
দক্ষিণাঞ্চের ওদেসা আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র সেরহি ব্রাতচুক জানান, তাদের
সেনারা স্নেক আইল্যান্ডের কাছে থাকা নৌযান ভিসেভোলোদ বোবোরভের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে।
স্নেক
আইল্যান্ড রোমানিয়ার সঙ্গে থাকা ইউক্রেইনের সমুদ্র সীমানার কাছে অবস্থিত; কৃষ্ণ সাগরে
অবস্থিত ছোট এ দ্বীপের কৌশলগত গুরুত্ব অপরিসীম।
“আমাদের নৌ সেনাদের কল্যাণে সরবরাহকারী নৌযান ভিসেভোলোদ
ববোরভে আগুন ধরে যায়; এটি রাশিয়ার বহরে যুক্ত হওয়া নতুন নৌযানগুলোর একটি,” বলেছেন ব্রাতচুক।
ইউক্রেইনের
এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। এ প্রসঙ্গে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের
মন্তব্য চাওয়া হলেও তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি তারা। তাদের কৃষ্ণসাগরের ফ্ল্যাগশিপ জাহাজ
মস্কভা গত মাসে ডুবে গিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার
ফিনল্যান্ড নেটোর সদস্যপদের জন্য অবিলম্বে আবেদন করা হবে বলে জানায়। সুইডেনও সম্ভবত
একই পথ অনুসরণ করতে যাচ্ছে। এই দুই দেশ নেটোতে যুক্ত হলে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক
জোট আরও বিস্তৃত হবে; পশ্চিমা এই সামরিক জোটের বিস্তৃতিই ঠেকাতে চাইছেন রুশ প্রেসিডেন্ট
ভ্লাদিমির পুতিন।
স্নায়ুযুদ্ধের
সময়ও ফিনল্যান্ড নিরপেক্ষ ছিল; এখন তারা নেটোতে যুক্ত হলে তা ইউরোপের নিরাপত্তা কাঠামোতে
বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
মস্কো
ফিনল্যান্ডের ঘোষণাকে ‘বৈরি’ অ্যাখ্যা দিয়েছে এবং পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি
দিয়েছে। এসব ব্যবস্থার মধ্যে ‘সামরিক-কৌশলগত’ পদক্ষেপ
থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেও এ সংক্রান্ত বিস্তারিত কিছু বলেনি তারা।
“এ ধরনের পদক্ষেপের (নেটোতে যোগ) দায় ও পরিণতি ব্যাপারে
হেলসিংকির (ফিনল্যান্ডের রাজধানী) অবশ্যই অবগত থাকা উচিত,” বলেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ফিনল্যান্ড
নেটোতে যোগ দিলে মস্কো সম্ভাব্য যেসব পদক্ষেপ নিতে পারে তার মধ্যে কৃষ্ণসাগরে পারমাণবিক
অস্ত্র মোতায়েনের মতো পদক্ষেপও থাকতে পারে বলে রুশ কর্মকর্তারা আগে বলেছিলেন।
নেটোর
মহাসচিব ইয়েন্স স্টল্টেনবার্গ জোটে যোগ দিতে ফিনল্যান্ডের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে তাদের
‘নির্বিঘ্নে ও দ্রুত’ সদস্যপদ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
হোয়াইট
হাউসও ফিনল্যান্ডের পদক্ষেপে সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
“নেটোতে ফিনল্যান্ডের আবেদনে সমর্থন দেবো আমরা। সুইডেন
করলে তাদেরও দেবো,” বলেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি।