ইতিহাদ স্টেডিয়ামের বাইরে শুক্রবার উন্মোচন করা হয়েছে আগুয়েরোর ভাস্কর্য। এ সময় তিনি নিজেও উপস্থিত ছিলেন।
২০১১-১২ মৌসুমের শেষ দিনে শিরোপা লড়াই জমে ওঠে দারুণভাবে। নিজেদের ম্যাচ শেষে শিরোপার সম্ভাবনায় এগিয়ে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কারণ, কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিপক্ষে তখন পিছিয়ে সিটি। দীর্ঘ খরা কাটিয়ে শিরোপা জিততে জয় দরকার ছিল তাদের।
ত্রাতা হয়ে আসেন আগুয়েরো। তার শেষ সময়ের গোলে নাটকীয় জয় পায় সিটি। একই সঙ্গে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে পেছনে ফেলে ৪৪ বছর পর নিশ্চিত করে লিগ শিরোপা।
আগুয়েরো ৯৩ মিনিট ২০ সেকেন্ডে বল জালে পাঠিয়েছিলেন। ওই গোলে লিগ শিরোপার দীর্ঘ খরা কাটানোর পর শুরু হয় ঘরোয়া আসরে সিটির আধিপত্য।
ক্লাব ক্যারিয়ারে ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সিটিতে কাটান আগুয়েরো। এই সময়ে ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে রেকর্ড ২৬০ গোল করেন তিনি।
সিটি থেকে বার্সেলোনায় পাড়ি দিলেও হার্টের সমস্যার কারণে গত বছর ৩৩ বছর বয়সে খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানেন আগুয়েরো। ইতিহাদে নিজের ভাস্কর্য দেখে তিনিও খুব খুশি।
“সত্যি বলতে, আমার জন্য এটা দারুণ একটা বিষয়। ১০ বছর আগের নিজেকে দেখতে খুবই ভালো লাগছে। এখানে ১০ বছরে আমি অনেক ট্রফি জিততে পেরেছি, ক্লাবটিকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ক্লাবগুলোর একটি হয়ে উঠতে সাহায্য করতে পেরেছি… এটা খুবই বিশেষ কিছু।”
১০ বছরের সিটি অধ্যায়ে ৫টি লিগ শিরোপা, একটি এফএ কাপ এবং ছয়টি লিগ কাপ জেতেন আগুয়েরো। তার ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন অ্যান্ডি স্কট। এর আগে গত বছর ইতিহাদে ভিনসেন্ট কোম্পানি ও দাভিদ সিলভার ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছিল। সাবেক দুই সতীর্থের সঙ্গে যোগ দিলেন আগুয়েরো।
ক্লাব চেয়ারম্যান খালদুন আল মুবারক বলেছেন, সিটির সাফল্যে আগুয়েরোর অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। স্বীকৃতি দিতেই তাদের এই উদ্যোগ।
“আমাদের ভক্তরা যখন সের্হিওর (আগুয়েরো) কথা ভাবেন, মুহূর্তেই তাদের ৯৩:২০ সময়টার কথা মনে পড়ে। …এটা কেবল আগুয়েরোর সঙ্গেই যায়, ভাস্কর্য দিয়ে তার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।”