কলকাতা অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানায়নি। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর শুক্রবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে সিডনিতে ফিরে গেছেন কামিন্স।
তার চোট তেমন গুরুতর নয়। আগামী মাসে অস্ট্রেলিয়া দলের শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য সময় মতো তিনি ফিট হয়ে উঠবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এবারের আইপিএলে কলকাতার হয়ে কামিন্স খেলেন পাঁচ ম্যাচ। এর মধ্যে টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে যৌথভাবে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন তিনি। হাত ঘুরিয়ে উইকেট নেন মোট ৭টি। যার ৩টি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে কলকাতার সবশেষ ম্যাচে।
১০ দলের আসরে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে আছে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা। তাদের প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ। আগামী কয়েক মাসে অস্ট্রেলিয়া দলের সামনে ব্যস্ত সূচি থাকায় চোট নিয়ে আর আইপিএলে খেলার ঝুঁকি নেননি কামিন্স।
২৯ বছর বয়সী এই ফাস্ট বোলারকে শ্রীলঙ্কা সফরে টি–টোয়েন্ট সিরিজ থেকে এমনিতেই বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। এই সফরে বাকি দুই সংস্করণেও খেলবে অস্ট্রেলিয়া।
তিন সংস্করণেই অস্ট্রেলিয়া দলে নতুন বলে বড় অস্ত্র টেস্ট অধিনায়ক কামিন্স। শ্রীলঙ্কা সফর শেষে অক্টোবরে ঘরের মাঠে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এরপর দেশের মাটিতেই পাঁচ টেস্ট, ভারতে টেস্ট সিরিজ এবং অ্যাশেজ অভিযানে ইংল্যান্ডে যাবে অস্ট্রেলিয়া।
পাকিস্তান সফরে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে আইপিএলে খেলতে যান কামিন্স। লাহোর টেস্টে ৮ উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি। তিন ম্যাচের সিরিজ অস্ট্রেলিয়া জিতে নেয় ১-০ ব্যবধানে। তার আগে অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজে দলকে জেতান অ্যাশেজ, চার টেস্ট খেলে উইকেট নেন ২১টি।