ক্যাটাগরি

এনআইডি দুটি, বয়স কমিয়ে নিয়েছেন সরকারি চাকরি

আতাউর রহমান নামের এই ব্যক্তি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পারখাতা গ্রামের আব্দুস শুকুর সেখের ছেলে।

বর্তমানে তিনি সিরাজগঞ্জ রেলওয়ের আওতায় ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী (ওয়েম্যান) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ সদর নির্বাচন অফিস ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।  

এই ব্যক্তির দুইটি পরিচয়পত্র এবং ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকা – যেখানে দুইটি ভোটার ক্রমিকে তার নাম রয়েছে – দেখার সুযোগ হয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধির। 

তার প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ৫০৭১৩৯৭১১০। এটাতে পেশা- শিক্ষক, জন্ম তারিখ ২৬ ফ্রেব্রুয়ারি ১৯৭৮ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা- স্নাতক দেখানো হয়েছে।

দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর- ৪১৫৬৭৫৫৯৮৭। এটাতে পেশা-কৃষক, জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ১৯৮৩ এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা ৫ম শ্রেণি দেখানো হয়।

২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ প্রকাশিত ভোটার তালিকায় দেখা যায়, ছোনগাছা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পারখাতা গ্রামের ভোটার তালিকায় ৯০ নম্বর ক্রমিকে আতাউর রহমানের নাম রয়েছে। একই ভোটার তালিকায় ১৫৭ নম্বর ক্রমিকেও তার নাম রয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আজিজার রহমান জানান, আতাউর রহমান প্রথমে ২০০৭ সালে এবং দ্বিতীয়বার ২০১২ সালে ভোটার হয়েছেন। বর্তমানে তার দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরই সচল রয়েছে।

“তথ্য গোপন করে দ্বিতীয়বার ভোটার হওয়া ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ পরিপন্থি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিষয়টি নজরে আসার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এস এস এ ই/ওয়ে) মো. আহসানুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তিনিও বিষয়টি অবগত। আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে তার কিছু করার নেই; ব্যবস্থা নিতে পারবেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে পাকশীর সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শিপন আলী বলেন, “আবেদনের তথ্য যাচাই-বাচাই ও পুলিশি তদন্তের পর সেই সময়ের নিয়োগ কমিটি আতাউর রহমানকে চাকরি দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে আমাদের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ নেই। একজনের নামে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা অপরাধ। নির্বাচন কমিশনে যদি সে দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে নিয়ম অনুযায়ী তিনি চাকরিচ্যুত হবেন।”

এ বিষয়ে আতাউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি প্রথমটি বাতিল করে দ্বিতীয়বার পরিচয়পত্র নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যেকোনো কারণে তা করতে পারেননি। কিন্তু সেটা করা দরকার ছিল। ভুল হয়ে গেছে।