জাপান
ও দক্ষিণ কোরিয়াতে ২০ থেকে ২৪ মে’র এই সফরে বাইডেন দেশদুটির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে
বৈঠক করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার
সাকি জানান, হোয়াইট হাউস এখনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের এশিয়া সফরের খুঁটিনাটি চূড়ান্তে
কাজ করছে।
ওই
অঞ্চলে যাওয়া বিদেশি সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের অনেকেই সামরিকভাবে ব্যাপক সুরক্ষিত ডিমিলিটারাইজড
জোনে (ডিএমজেড) গেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের
সাবেক অনেক প্রেসিডেন্ট, এমনকী প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে বাইডেনও ডিএমজেডে গেছেন।
সাবেক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সেখানে গিয়ে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের
সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছিলেন।
কিম
যেন তার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বাদ দেন, তার জন্য বেশ কয়েকবার উত্তরের
নেতার সঙ্গে বসেছিলেন ট্রাম্প। তারই অংশ হিসেবে ডিএমজেডে দুই নেতার ওই সাক্ষাৎ হয়েছিল।
কিমের হাত ধরে সেবার প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে উত্তর কোরিয়ার মাটিতে পা-ও পড়েছিল
রিপাবলিকান ট্রাম্পের।
উত্তর
কোরিয়া এ মাসেই তার ৭ম পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে পারে- যুক্তরাষ্ট্রের এ মূল্যায়নের
কথা সাকি বৃহস্পতিবার ফের ব্যক্ত করেছেন।
২০১৭
সালের পর থেকে উত্তর কোরিয়া কোনো পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালায়নি, তবে এ বছর থেকে
তারা আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ফের শুরু করেছে।
দক্ষিণ
কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া সম্ভবত নতুন একটি পারমাণবিক
পরীক্ষা চালাতে প্রস্তুত, তবে তার আগে তারা আরও কিছু ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে
পারে।
পুঙ্গি-রি
কেন্দ্রে উত্তর কোরিয়ার নতুন নির্মাণ কাজ চালানোর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে গত কয়েক
সপ্তাহ ধরে বলে আসছে ওয়াশিংটন ও সিউল।
বৃহস্পতিবারও
পিয়ংইয়ং তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে জানিয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া।
উত্তর
কোরিয়ার নতুন এই পরীক্ষার নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে,
ওয়াশিংটন এখনও কূটনৈতিক তৎপরতায় আগ্রহী। তারা পিয়ংইয়ংয়কে আলোচনায় ফেরারও আহ্বান জানিয়েছে।